শিমুল মাহমুদ: [৩] একটি কিডনির বদলে দুটি কিডনি অপসারণে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটি।
[৪] হাসপাতালের পরিচালক ও তদন্ত কমিটির আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত কয়েকজন চিকিৎসক। তদন্ত কমিটির কাছে তথ্য দেওয়ার পর বিএসএমএমইউ পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আহমেদ আমিন জানান, যেহেতু এই বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে এবং হাইকোর্টে তা প্রক্রিয়াধীন সে কারণে এ বিষয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
[৫] এরআগে মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটির প্রধান কমিশনের পরিচালক আল মাহমুদ ফায়জুল কবির বলেন, এ ঘটনার যতো নথি আছে এবং ঘটনাটি কিভাবে ঘটেছে পুরো বিষয়টি জানতে এসেছি। যতো ধরনের তথ্য প্রমাণ প্রয়োজন হবে সবই করা হবে। আগামীকাল আমার ময়না তদন্ত রিপোর্ট আনতে ঢাকা মেডিকেল যাবো।
[৬] ইতোমধ্যে ভুক্তভোগীর বক্তব্য নিয়েছেন কমিশনের তদন্ত দল। পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল শাহবাগ থানা পুলিশ ও মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগ থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে তদন্ত কমিটি।
[৭] ২০১৮ সালে জুলাই মাসে রওশন আরা নামে এক নারী কিডনিতে সংক্রমণ নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তার বাম কিডনি অপসারণের কথা বলে ডানপাশের কিডনিও কেটে ফেলার অভিযোগ ওঠে। এর ফলে মৃত্যু ঘটে ওই নারীর।
[৮] এই ঘটনার ময়নাতদন্ত পাওয়ার দুই বছর পরে হাসপাতালটির চার চিকিৎসককে আসামি করে হত্যা মামলা করেন রওশন আরার ছেলে চলচ্চিত্র নির্মাতা রফিক শিকদার। সম্পাদনা: বাশার নূরু