কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] মঙ্গলবার ইউনিসেফ ঢাকা অফিস এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, দীর্ঘস্থায়ী রূপ নিচ্ছে ডিজিটাল বৈষম্য যা ইতোমধ্যে দেশ ও কমিউনিটিগুলোকে বিভক্ত করে ফেলেছে। দরিদ্রতম পরিবার ও গ্রামাঞ্চলে শিশু ও তরুণ জনগোষ্ঠী তাদের সমবয়সী বা সহপাঠীদের চেয়ে আরও পিছিয়ে পড়ছে এবং পুনরায় সহপাঠীদের সঙ্গে একই কাতারে পৌঁছানোর সুযোগও খুব কম।
[৩] ইউনিসেফ ও আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ধনী পরিবারের শিশুদের মধ্যে ৫৮ শতাংশের বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে, দরিদ্র পরিবারের ক্ষেত্রে এই হার মাত্র ১৬ শতাংশ। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আয়ের ভিত্তিতে একই ধরনের বৈষম্য বিদ্যমান।
[৪] বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি টোমো হোযুমি বলেন, মহামারি চলাকালীন তারা শিক্ষা গ্রহণের কম সুযোগ পেয়েছে।এই বিভাজন আগে থেকে বিদ্যমান বৈষম্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
[৫] কোভিড-১৯ এর কারণে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইন্টারনেট ও টেলিভিশন ছাড়া শিক্ষা কার্যক্রম কার্যকরভাবে এই শিশুদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব নয়।
[৬] বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৯ সালে করা সার্ভে অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৬২ শতাংশ পরিবারের বাড়িতে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই। সবচেয়ে ধনী ২০ শতাংশ পরিবারের ক্ষেত্রে এই হার ৭৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
[৭] দূরশিক্ষণের আরেকটি প্রধান মাধ্যম টেলিভিশনের বেলায় জাতীয়ভাবে ৫১ শতাংশ পরিবার টেলিভিশনের মালিক। একইসঙ্গে সবচেয়ে দরিদ্র ২০ শতাংশ পরিবারের মাত্র ৪ দশমিক ৮ শতাংশ টেলিভিশনের মালিক।
আপনার মতামত লিখুন :