জাহাঙ্গীর চমক: [২] মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে শীতকালীন লাউয়ের চাষ দিন দিন বাড়ছে। সবজি হিসেবে লাউয়ের চাহিদা থাকায় বাজারে দামও ভাল। অল্প খরচে বেশি লাভের আশায় সিরাজদিখানের চাষিরা ঝুঁকছেন লাউ চাষে। দেশে সবজির চাহিদা সারা বছর থাকে। সেই চাহিদা মেটাতে সিরাজদিখানে সারা বছর বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদিত হয়।এর মধ্যে লাউয়ের চাষ অন্যতম।
[৩] এই চাষে লাভবান হওয়ায় উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে লাউ চাষ। কৃষক বাণিজ্যিক ভাবে বিক্রি করার জন্য জমিতে লাউ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। এছাড়াও অনেক গৃহিণীরা বাড়ির আঙিনায় মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ করছেন। এর ফলে দিনদিন লাউ চাষে জড়িয়ে পড়ছেন এ উপজেলার অনেক কৃষক।
[৪] সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন বাড়ির আঙিনায় কৃষিজমি ও রাস্তার পাশে এই লাউ চাষ করা হয়েছে। অনেকে মাচা পদ্ধতিতে বাড়ির আশপাশে আবার অনেকে রাস্তার ধারে রোপন করেছেন। সেইসব গাছে এখন লাউ ধরেছে। এছাড়া অনেকেই লাউ শাকের জন্য রোপন করেছেন। তারা প্রতিনিয়ত লাউশাক বাজারে বিক্রি করছেন।
[৫] উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে লাউ চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে লতব্দী ও বালুচর ইউনিয়নে শুধু লাউ শাকের জন্য। এছাড়া গৃহিণীরা বাড়ির আঙিনায় মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ করেছেন। এছাড়া কোলা. শেখরনগর, রাজানগর, চিত্রকোট ইউনিয়নে কম খরচে বেশি লাভবান হওয়ার জন্য মাটিতে রোপণ করা হয়েছে। এর ফলে দিনদিন লাউ চাষ আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
[৬] লাউ চাষি বাছের মোল্লা বলেন, লাউ গাছ অনেক ভালো হয়েছে। অনেক গাছের লাউ ধরেছে। কয়েন দিন পর বাজারে বিক্রি করা শুরু হবে। আরেক লাউ চাষি আ: রহমান বলেন, আমি বাড়ির আঙিনায় লাউ চাষ করেছি। আমার পরিবারকে ভাল সবজি খাওয়াতে আমি বিভিন্ন সবজির সাথে লাউ চাষ করে থাকি।
[৭] উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি অফিসার মোহসিনা জাহান তোরণ বলেন, এ উপজেলায় দিনদিন লাউ চাষ করে অনেক কৃষক লাভবান হচ্ছেন। বাড়ির আঙিনায় গৃহিণীরাও লাউ চাষ করে লাভবান হয়েছেন। আমরা বিভিন্ন শাক সবজির বীজ কৃষকদের দিয়েছি । যাতে তারা বাড়ির আঙিনায় এগুলো রোপণ করে পরিবারের সবজি চাহিদা মিটাতে পারেন। যাতে বাড়তি দাম দিয়ে কিনে খেতে না হয়। সম্পাদনা: সাদেক আলী