শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ০৫:২০ সকাল
আপডেট : ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ০৫:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] আইন প্রণয়ন করে কমিশনার নিয়োগ, নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারের দাবি বিশিষ্টজনদের

শিমুল মাহমুদ: [২] সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, আমাদের কমবেশি ৩০ বছরের গণতন্ত্র। ভালোমন্দ একটা চর্চা ছিলো। তার সঙ্গে তুলনা করলে এখন গণতন্ত্র খুঁজে পাওয়া মুশকিল।

[৩] নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে যে প্রহসনটা শুরু হয়েছে সেটা কিন্তু জনগণের ক্ষমতাকে সরাসরি খরব করছে। অন্যদিকে সংবিধানের যে মূল স্তম্ভ গণতন্ত্র ওজনগণ ক্ষমতার উৎস এগুলো একেবারে ভেঙ্গেচুড়ে ফেলা হয়েছে।

[৪] রাজনীতি বিশ্লেষক ড. আলী রিয়াজ বলেন, সরকার চান কি চান না তার উপর নির্ভর করবে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি হবে না, অংশগ্রহণমূলক হবে কি হবে না এবং আদো নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালন করবে কি করবে না।

[৫] সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ২০০৯ বা ১০ সালে তথ্যবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে মূলত নির্বাচনের সর্বনাশ করা হয়েছে। এটা একবার যখন করা হয়েছে আবার করা যাবে না এমন কিন্তু না।

[৬] সাবেক নির্বাচন কমিশনার ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশনের শক্তি হচ্ছে সুপ্রীম কোর্ট এবং হাইকোর্ট। আমরা আজ পর্যন্ত আদালতকে কমিশনের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে দেখিনি বরং উল্টো দেখেছি। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের আইন প্রণয়ন করে যাতে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, সেদিকে আমাদের জোর দিতে হবে।

[৭] স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, আগে জানতাম সামরিক শাসকরা বিরাজনীতিকরণ করে, একটা বেসামরিক সরকার যে এভাবে বিরাজনীতিকরণ করতে পারে, এখন আমরা তা-ও দেখতে পাচ্ছি। আমি সবাইকে বলব সামনে স্থানীয় সরকারের যে নির্বাচনগুলো আছে, সেগুলোকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করার জন্য।

[৮] সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, নির্বাচন কমিশন বিবেক প্রতিবন্ধি, বিভেক শুন্য। যার ফলে জনগণ নির্বাচনের ও গণত্রন্তের প্রতি আগ্রহ শুন্যের কোটায় গিয়ে ঠেকেছে।

[৯] সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সবচেয়ে শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশনও সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারবে না; যদি না সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে এবয় রাজনীতিক দল গুলো নদাআচরণ করে।

[১০] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল বলেন, এ নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, মাঠ প্রশাসন তারা কিন্তু কেয়ারটেকার গভমেন্টের সময়ে টিকেই কাজ করতে পারে, এবং করেছিলো। কখনো অন্য দেশ থেকে লোক এসে নির্বাচন বা মাঠ প্রশাসন গঠন করেনি।  রোববার গণতন্ত্র, নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন’ শীর্ষক একটি অনলাইন বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়