লিহান লিমা: [২] শুক্রবার ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (আইএফপিএমএ) নির্বাহী পরিচালক থমাস কুইনি বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অনুমোদন পেলে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ১০টি করোনার টিকা সহজলভ্য হবে, তবে এর জন্য আবিষ্কারদের পেটেন্ট সুরক্ষার প্রয়োজন। এনডিটিভি
[৩] আইএফপিএমএ হলো একটি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন যা বিশ্বজুড়ে ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাগুলিকে প্রতিনিধিত্ব করে। এটি ১৯৬৮ সালে গঠিত হয়েছে। সদরদপ্তর অবস্থিত সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে।
[৪] থমান কুইনি জানান, মার্কিন কোম্পানি ফাইজার, মর্ডানা, জার্মানির বায়োএনটেক ও ব্রিটেনের অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা বৃহত্তর ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় আশাব্যঞ্জক ফলাফল দেখিয়েছে। আমি আশা করছি জনসন এন্ড জনসন, নোভাভ্যাক্স, সানোফি পাস্তেউর, জিএসকে এবং মিরেকের টিকারও একই ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে।
[৫] জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি টিকার তড়িঘড়ি অনুমোদন নিয়ে সতর্ক করে বলেন, বড় বড় ফার্মা কোম্পানি ও বায়োটেক ফার্মগুলো টিকার গবেষণা এবং উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। তবে পেটেন্ট সুরক্ষা, বিশেষজ্ঞ কর্মী এবং মান নিয়ন্ত্রণ জনিত পদক্ষেপ ব্যতীত টিকার লাইসেন্স প্রদান বড় ভুল হবে। আমরা চাই আগামী গ্রীষ্মের মধ্যেই ১০টি টিকা বাজারে আসুক। কিন্তু প্রত্যেকটি টিকার যথাযথ বৈজ্ঞানিক কার্যকরীতা, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা খতিয়ে দেখতে হবে।
[৬] সংস্থাটি জানায়, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা মহামারীর সময়ে পেটেন্টকৃত পণ্যের আবশ্যিক লাইসেন্স সাময়িকভাবে অনুমোদনের সুপারিশ করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও সুইজারল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশগুলো এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
[৭] এই প্রস্তাব সম্পর্কে কুইনি বলেন, মহামারীর এই সময়ে টিকা রাজনীতি বিশ্বকে ভুল বার্তা দেবে। টিকা উৎপাদনকারী প্লান্টগুলোকে অবশ্যই মহামারীর সময়ে লাভজনক নীতির বদলে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে কাজ করতে হবে।