ডেস্ক রিপোর্ট: অ্যাকশন এইডের পাওয়ার প্রজক্টের মাধ্যমে বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ নারীদের জীবনমান। শাকসবজি চাষ করে নিজেদের পুষ্টি পূরণসহ বাজারে বিক্রি করেও লাভবান হচ্ছেন তারা।
গাইবান্ধা ও লালমনিরহাটে এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং তাদের দেয়া দেশীয় জাতের বীজ ব্যবহার করে নারীরা, খুঁজে পেয়েছেন আয়ের উৎস ও নিজেদের আত্মবিশ্বাসের ঠিকানা।
গাইবান্ধার কাতলামারীর বেলী বেগম। একসময় তার পরিবারে ছিল দারিদ্র আর হতাশা। ২০১৬ সালে অ্যাকশন এইডের পাওয়ার প্রজেক্টের কৃষি প্রশিক্ষণ, তাকে লড়াই করার প্রেরণা যোগায়। বাড়ির আঙ্গিনায় শুরু করেন সম্পূর্ণ জৈবসার নির্ভর সবজি চাষ।
৯টি বেডে চাষ হচ্ছে পুঁই, ধনিয়া, শালগম, বেগুন, বরবটি, মুলা, লাউ, কুমড়া। বেলী বেগমের বাজারেও যেতে হয় না; ক্রেতারা, তার বাড়িতে এসেই কেনেন শাকসবজি। বন্যা ও নদীভাঙন এলাকায় তিনি জলবায়ু সহনশীল মাঁচা, বেড, শিকা, ভ্যানিটি ব্যাগ ও বস্তা পদ্ধতিতে করছেন শাকসবজি চাষ।
বেলি বেগমকে দেখে আগ্রহী হয়েছেন অন্য নারীরাও। দিপ্তী রানী, নূরজাহান বেগম, মণিকা, নাজমা বেগমরা আর স্বামীর ওপর নির্ভরশীল নন। স্থানীয় জাতের বীজ সংরক্ষণ ও ব্যবহার করে শাকসবজী উৎপাদনে উৎসাহিত করছে এস কে এস প্রজেক্ট। সংস্থাটির কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন,'এখানে তারা জলবায়ু সহনশীল টেকসই কৃষি পদ্ধতি ব্যবহার করে, বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি উৎপাদন করে তারা তাদের পরিবারের চাহিদা মিটাচ্ছে।'
লালমনিরহাটের মোর্শেদা বেগম। পাওয়ার প্রজেক্ট থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করেন রাসায়নিকমুক্ত সবজী চাষ। ভালো ফলন ও চাষে সফলতা পাওয়ায় অল্পদিনেই সাবলম্বী হয়ে ওঠেন তিনি। সদরের পাঁচ ইউনিয়নের ১শ নারী দলের কমিউনিটিতে যুক্ত হন মোর্শেদা।
এগ্রোইকোলজি স্কুলের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ নিয়ে কৃষি জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ নারীরা উৎপাদন ও আয়মূলক কাজে যুক্ত হচ্ছেন। নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা এবং সমতা বজায়ে রাখতে কাজ করছে লালমনিরহাট এস কে এস পাওয়ার প্রকল্প।
পারিবারিক শাকসবজী চাষ করে স্বনির্ভরশীলতা অর্জনের পাশাপাশি পরিবারে ফিরে এসেছে নারী পুরষের সহমর্মিতা, ভালবাসা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ।ডিবিসি