সিরাজুল ইসলাম: [২] ২৮ বছর বয়সী এই আইনজীবী করাচির সিটি কোর্টে প্রাকটিস করছেন। ২০০৯ সালে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট জাতীয় পরিচয়পত্রে হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে পরিচয় দেয়ার অনুমতি দেয়। তাদের অধিকার সুরক্ষায় ২০১৮ সালে আইন পাস করা হয়। রয়টার্স
[৩] লাহোরে মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেয় নিশা। ১৮ বছর বয়সে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। আরও দুইজন হিজড়ার সঙ্গে চলে যান করাচি। সেখানে অন্য হিজড়াদের কাছে তার আশ্রয় মেলে। তারা তাকে রাস্তায় ভিক্ষা করতে বা যৌনকর্মী হতে বলে; কিন্তু নিশা সে জীবন চাননি।
[৪] তিনি দিনে ট্রাফিক মোড়ে ভিক্ষা করে পাওয়া অর্থ দিয়ে একটি নৈশ ল’ কলেজে ভর্তি হন। কয়েক বছরের চেষ্টায় তিনি আইনের ডিগ্রি অর্জন করেন এবং এ বছরের শুরুতে ‘করাচি বার অ্যাসোসিয়েশন’ সদস্য হন। একই সঙ্গে তিনি ইতিহাস গড়েন।
[৫] নিশা বলেন, পাকিস্তানের প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের আইনজীবী হতে পেরে তিনি গর্বিত। তার হাতে অর্ধশত মামলা রয়েছে। হিজড়াদের নিয়ে কাজ করে- এমন এনজিওর হয়েও তিনি কাজ করেন। তার সেক্রেটারি জিয়া আলভি (৩৪) হিজড়া।
[৬] হিজড়া নায়েব বলেন, নিশা একসময় তাদের সঙ্গেই ভিক্ষা করতো। সে অনেক এগিয়ে গেছে। মাঝরাতেও সাহায্য চাইলে তিনি সাড়া দেন।