রেহনুমা মোস্তফা : বাঙালি নারীদের মধ্যে একটা অন্যরকম সম্প্রদায় আছে। তারা নারী হয়েও চরমভাবে নারীবিদ্বেষী, তারা শত্রুতায় পুরুষকেও হার মানায়। তারা উচ্চশিক্ষিত হয়েও প্রচণ্ড রকম অন্য মেয়ের শিক্ষা, যোগ্যতা ও শারীরিক সৌন্দর্য নিয়ে কল্পনাতীত হীনমন্যতায় ও হিংসায় ভোগে এবং নিম্ন কুরুচিপূর্ণ মন মানসিকতার অধিকারী হয়। তাদের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষাগত সার্টিফিকেট থাকলেও জ্ঞান বলতে শুধুই শাড়ি গয়না আর মেকআপ করাকে বুঝে। দাম্পত্যজীবনে চরমভাবে অসুখী থাকলেও বাইরে স্বামীকে নিয়ে আদর্শ দম্পতির অভিনয় করে বেড়ায় এবং অন্যের ব্যক্তিগত জীবনের নানা বিষয় নিয়ে কুৎসা রটায়।
শারীরিক সৌন্দর্য কিংবা মেধাগত যোগ্যতায় তাদের চাইতে এগিয়ে অন্য মেয়েদের পা ধরে সব সময় টেনে নামাতে এরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকে। তাদের কারণে অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন মেয়ে কর্মস্থলে ভালোভাবে কাজ করে সফল হতে পারে না কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়। আমি আমার চারপাশে আত্মীয় মহল ও নারী সহকর্মীদের মধ্যে এমন মনোভাবের অনেককেই লক্ষ্য করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের জ্ঞান-বুদ্ধি আত্মমর্যাদাহীন মানসিক রোগী বলে মনে করি।
এমনিতেই প্রচণ্ড গোড়া পুরুষতান্ত্রিক সমাজে আমাদের মেয়েদের কষ্টের সাথে বসবাস করতে হয় তার উপর এমন স্বভাব বৈশিষ্ট্যের নারীরা কাক হয়ে কাকের মাংস খান। এমন মানসিক রোগের যেহেতু কোনো চিকিৎসা হয় না সেহেতু এমন আচরণ করার সময় তাদের তাদের বুদ্ধিহীনতা সেই স্থানেই বুঝিয়ে দেওয়া উচিত। নয়তো পুরুষতান্ত্রিক অত্যাচার ও যন্ত্রণা শুরু হওয়ার আগেই এমন পুরুষতন্ত্রের ধারক ও বাহক নারীদের কারণে অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন মেয়েকে অঙ্কুরে ঝরে পড়তে হবে। দিন আর বদলাবে না...।