রাশিদুল ইসলাম : ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি কৃষি সংক্রান্ত যে আইন পাশ করেছে তার বিরুদ্ধে কৃষকরা দিল্লি চলো অভিযানের ডাক দেওয়ায় পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানাসহ মোট ৬ টি রাজ্যের কৃষকরা ওই অভিযানে শামিল হয়েছিলেন।
এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সূর্যেওয়ালা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘দিল্লি ও চণ্ডীগড় সরকার গোটা হরিয়ানা ও দিল্লির মধ্যে কৃষক নেতাদের ধরপাকড় শুরু করেছে। রাতারাতি কৃষকদের স্বৈরশাসকের কায়দায় কারফিউয়ের মত পরিস্থিতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। কৃষকরা কী সন্ত্রাসী? কৃষকরা কী অপরাধী? কৃষকদের কাছ থেকে দিল্লি সরকারের কী কোনও হুমকি রয়েছে?’
বৃহস্পতিবার হরিয়ানা দিল্লির সীমানার দিকে এগোতেই কৃষকদের উপর কাঁদানে গ্যাস, পানি কামান ব্যবহার করে পুলিশ ও সিআরপিএফ। কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযানকে কেন্দ্র করে দিল্লির সীমানায় বদরপুরের কাছে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশের দিকে পাল্টা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন কৃষকরা। তারা সড়কের মধ্যে থাকা পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়ে এগোনোর চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। ওই ঘটনায় ‘স্বরাজ ইন্ডিয়া’ সংগঠনের প্রধান যোগেন্দ্র যাদবকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে টুইট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বেশ কয়েকটি সংগঠনের প্রতিবাদ কর্মসূচির (২৬ ও ২৭ নভেম্বর) আবেদন পেলেও তার কোনওটির অনুমতি দেওয়া হয়নি। সব আবেদন বাতিল করা হয়েছে এবং সংগঠনগুলোকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশকে সহযোগিতা করার আবেদন জানানোর পাশাপাশি আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। পারসটুডে