আনিস তপন : [২] অনেক ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা সুদমুক্ত ঋণের টাকায় কেনা গাড়ি ব্যবহারে নীতিমালা সঠিকভাবে অনুসরণ করছেন না এমন অভিযোগে সম্প্রতি সতর্ক করে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সচিবদের এই চিঠি পাঠানো হয়।
[৩] চিঠিতে বলা হয়, মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীন দফতর- অধিদফতর সংস্থায় কর্মরত প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণ এবং গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা’র আওতায় সুদমুক্ত ঋণ দেয়া হয়। এ সকল কর্মকর্তাদের গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালার আওতায় সুদমুক্ত ঋণের অর্থে কেনা গাড়ি ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
[৪] বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণ এবং গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা, ২০২০ (সংশোধিত)র ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিছু কিছু কর্মকর্তা সুদমুক্ত ঋণের গাড়ি ব্যবহার না করে মন্ত্রণালয় বিভাগের অধীন অধিদফতর, সংস্থা ও উন্নয়ন প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহার করে অফিস যাতায়াতসহ পারিবারিক কাজে ব্যবহার করছেন।
[৫] অন্যদিকে কিছু কিছু কর্মকর্তা সরকারি গাড়ি ব্যবহারের সুবিধা থাকা সত্তে¡ও এই গাড়ি ব্যবহার না করে গাড়ি সেবা নগদায়নের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়বাবদ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করছেন। এতে সরকারের জ্বালানি ও আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
[৬] এ বিষয়টি রোধে সুদমুক্ত ঋণের অর্থে কেনা গাড়ির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতে ও সরকারি গাড়ি অপব্যবহার থেকে বিরত রাখতে প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণ এবং গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা, ২০২০ (সংশোধিত) জারি করা হয়েছে।
[৭] যানবাহনের অপব্যবহার রোধে চারটি নির্দেশনা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, নীতিমালা অনুযায়ী ১০০ শতাংশ রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় গ্রহণের ক্ষেত্রে সুদমুক্ত ঋণের অর্থে কেনা গাড়ি ব্যবহার করতে হবে। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু