রাজু চৌধুরী : [২] নগরীর কয়েকটি এলাকায় মাস্ক পরিধান না করায় ৬৮ জনকে অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এই সময় রিক্সাওয়ালা ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ ও করা হয়।
[৩] শনিবার (২১ নভেম্বর) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর, উমর ফারুক, আশরাফুল আলম ও গালিব চৌধুরীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয় । জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল মানুষ ও রিক্সাওয়ালাদের মাঝে প্রায় ৫০০ মাস্ক বিতরণ করা হয়।
[৪] নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম নগরীর আন্দরকিল্লা ও চকবাজার এলাকায় অভিযানে ২৮ জন ব্যাক্তিকে ১৭১০০ টাকা অর্থদণ্ড করেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক কাজির দেউড়ী ও লালখান বাজারে ছিন্নমূল মানুষ ও রিক্সাওয়ালাদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন ও ২০ ব্যক্তিকে ১৫০০ টাকা অর্থদণ্ড করেন এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী জিইসি মোড় এলাকায় গণ পরিবহনে অভিযান চালিয়ে ১৪ ব্যাক্তিকে ১৪০০ টাকা অর্থদণ্ড করেন ও এস এম আলমগীর পরিচালিত মোবাইল কোর্ট বায়েজিদ এলাকায় ৬ জনকে ৪৩০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
[৫] নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, মাস্ক বিহীন দুই শ্রেনীর মানুষ রয়েছেন, এক শ্রেনীর হলো সরকারি স্বাস্থ্য বিধি অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করে আরেক শ্রেণীর মানুষ আছেন যারা সচেতন নয় এবং দৈনিক আয় কম হওয়ার দরুন মাস্কও কিনতে পারেনা অথবা বাড়তি খরচের চাপ মনে করেন তাদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয় এবং শপথ পড়ানো হয় যাতে তারা বাইরে বের হলে মাস্ক পরিধান করে।
[৬] অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গণ আরও বলেন, অব্যাহত অভিযানের ফলে মাস্ক পরার প্রবনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তবুও কিছু মানুষ অবেহেলা করে মাস্ক পরেননা এমন উদাসীন লোকদের অনেককেই হাজার টাকা করেও অর্থদণ্ড করা হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন