ইমরুল শাহেদ: চলচ্চিত্রে বর্তমানে তেমন কোনো নির্ভরশীল নবাগত আসছেন না। চেনা-অচেনা অনেক নায়িকারই ছবি মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু কেউ দর্শকের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারেননি। সুনেরা বিনতে কামাল, শার্লিন, স্পর্শিয়াসহ অনেকের নামই উল্লেখ করা যেতে পারে এখানে।
তাদের কেউ কেউ ইতোমধ্যেই বরের ঘরে চলে গেছেন। নুসরাত ফারিয়া অমিত সম্ভাবনা নিয়ে এসেছিলেন। জাজ মাল্টিমিডিয়ার দাপট থিতিয়ে যাওয়ার পর তিনিও অনেকটাই আলোচনার বাইরে চলে গেছেন, বিশেষ করে চলচ্চিত্র বিষয়ক আলোচনা। চলচ্চিত্রের এই খরার মধ্যেই ক্যারিয়ার নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছেন সুস্মি রহমান, হুমায়রা সুবাহ, অধরা খান, কাজী নওশাবা এবং আরশি হোসেন।
তবে আরশি অভিনীত অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড পরিচালিত রোহিঙ্গা ছবিটি এখনো মুক্তি না পেলেও আলোচনায় চলে এসেছেন ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রের এই অভিনেত্রী। জানালেন, অনেক ছবির অফার পাচ্ছেন তিনি। কিন্তু ছবি ও চরিত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একটু খুঁতখুঁতে তিনি। বললেন, ‘সত্যিকারের মানুষ এবং বাজে ছেলে দি লোফার মুক্তি পেয়েছে। দর্শক ও নির্মাতারা জেনে গেছেন আমি কেমন অভিনেত্রী। এখন বিশ্বব্যাপী চলছে মহামারী। তাড়াহুড়ো নেই।
অনেক নির্মাতার সঙ্গেই কথা চূড়ান্ত হয়ে আছে। শুরু হওয়ার আগে কোনোটির নাম বলতে চাই না। এছাড়া দ্বিতীয় নায়িকা হিসেবে কাজ করতে চাই না। সেটা করলে অনেক ছবি করতে পারতাম। ক্যারিয়ারকে দূর্বল করে গড়ে তুলতে চাই না আমি।’ তিনি বলেন, ‘স¤প্রতি আমি রিয়াজ ভাইয়ের সঙ্গে একটি বেবী ডায়াপারের টিভিসি করেছি। সেটি রিলিজ হবে এবং বেবী ডায়াপারের বিলবোর্ড হচ্ছে। ক্যারিয়ার পুরো খরায় গেছে বলা যাবে না।
আশা করছি নতুন বছর আমার জন্য নতুন প্রত্যাশা নিয়েই শুরু হবে।’ আরশি জানিয়েছেন, ‘আমি ভীড়ের মধ্যে হারিয়ে যেতে চাই না। কারো প্রতিযোগী বা প্রতিদ্ব›দ্বীও নই আমি। আমার ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য নিয়েই আমি এগিয়ে যেতে চাই।’ তিনি জানান, বেশ কয়েকজন সুধী নির্মাতার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি আশা করছেন, নতুন বছরে অবশ্যই তার ক্যারিয়ারের রুপান্তর হবে।