সিরাজুল ইসলাম: [২] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল রেজিস্ট্যান্স’ ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধিতে আশঙ্কা প্রকাশ করে বিশ্বজুড়ে সবার জন্য নতুন প্রজন্মের অ্যান্টিবায়োটিকের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিকভাবে সমন্বিত গবেষণা এবং বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। বাসস
[৩] তিনি বলেন, আমরা লভ্য অ্যান্টিবায়োটিকের আওতার বাইরে চলে যাচ্ছি। ফলে শিগগিরই আরেকটি বৈশ্বিক জরুরি অবস্থার মুখে পড়তে হতে পারে; যেটি হবে কোভিড-১৯ মহামারীর চেয়েও মারাত্মক। তিনি আজ গণভবন থেকে ভিডিও বার্তায় ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’র ওয়ান হেলথ গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপ’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
[৪] শেখ হাসিনা বলেন, ‘সন্দেহ নেই যে, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল রেজিস্ট্যান্স মানুষ এবং প্রাণী উভয়ের জন্য বিশ্বস্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপজ্জনক খাদ্য উৎপাদন আমাদের বিপজ্জনক ফলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি জনগণের স্বাস্থ্য, প্রাণি এবং নিরাপদ খাদ্য ও ফসল উৎপাদন এবং পুরো পরিবেশের জন্য ঝুঁকির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
[৫] বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এই উদ্যোগের সহ-সভাপতি। অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল রেজিস্ট্যান্স সম্পর্কিত আন্তঃসংস্থা সমন্বয় গ্রুপের সুপারিশগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের পক্ষে সমর্থন, কারিগরি এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে সময়োপযোগী এই উদ্যোগটিকে সফল করার জন্যও বৈশ্বিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
[৬] তিনি বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিকের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার, ভুল ডোজ এবং সামগ্রিকভাবে দুর্বল সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতার ফলে মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।
[৭] প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, বাংলাদেশ ‘অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল রেজিস্ট্যান্স কনটেইনমেন্ট ২০১৭-২০২২’ এর জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা; খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং পশু স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশ্ব সংস্থাকে সমন্বিত গ্রুপটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ এবং অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল প্রতিরোধের গুরুতর সমস্যা সমাধানের জন্য সম্মিলিত বৈশ্বিক উদ্যোগের জন্যও ধন্যবাদ জানান ।
[৮] গ্রুপের সহ-সভাপতি বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোটলি, মন্ত্রীগণ এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।