কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক প্রস্তাবটি ১৮ নভেম্বর বিপুল ভোটে গৃহীত হয়।
[৩] রোহিঙ্গা সংকটের জরুরি সমাধানের লক্ষ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটির চতুর্থবারের মতো গৃহীত প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৩২ দেশ, বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৯ দেশ। আর ভোট দানে বিরত থাকে ৩১ দেশ।
[৪] ওআইসি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে এবং পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে ১০৪ দেশ।
[৫] প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয় মিয়ানমার, বেলারুশ, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, জিম্বাবুয়ে, লাওস, জাপান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভেনেজুয়েলা
[৬] ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে নেপাল ও শ্রীলঙ্কা।
[৭] জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের এই রেজুলেশন আন্তর্জাতিক রীতিনীতির গুরুত্বপূর্ণ এক উৎস হিসেবে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
[৮] জাতিসংঘ প্রস্তাবটিকে ধারাবাহিকভাবে সমর্থন জানানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ রাবাব ফাতিমা।
[৯] রেজুলেশনে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দীর্ঘকাল ধরে চলমান সংকট মোকাবেলায় অবদান এবং মিয়ানমারকে চ্যালেঞ্জসমূহ কাটিয়ে উঠতে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ ঘটাতে সাহায্য করবে।
[১০] জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটির চতুর্থবারের এই রেজুলেশনে তারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নাগরিকত্ব ইস্যু সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সম্পাদনা : সমর চক্রবর্তী