আন্তর্জাতিক ডেস্ক : [২] মধ্যপ্রদেশের ভিন্ডের সিন্ধু নদীতে মিলল সকমাউথ ক্যাটফিশ। মাছটি সিন্ধু নদীর মেহদা ঘাট থেকে ভোল নামের এক ব্যক্তির
হাতে ধরা পড়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদীতে পাওয়া যাওয়া এই মাছ।
[৩] বিজ্ঞানীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এই মাছটি মাংসাশী এবং আমাদের বাস্ততন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক। আমাজন নদীতে পাওয়া সকমাউথ ক্যাটফিশ এর আগে পাওয়া গিয়েছিল বারাণসীর গঙ্গায়। এই মাছ দেখতে যথেষ্ট মাংসল। এই মাছটি কীভাবে সিন্ধু নদীতে এসে পৌঁছাল তা এখনই জানতে চাইছেন বিশেষজ্ঞরা।
[৪] কয়েকদিন আগে বারাণসীর গঙ্গা থেকে কয়েকজন নাবিক এই ধরনের আরও একটি মাছ উদ্ধার করেছিল। এই মাছটিকে বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদীতে পাওয়া সকমাউথ ক্যাটফিশ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। বিজ্ঞানীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এই মাছটি মাংসাশী এবং আমাদের বাস্তুতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক।
[৫] যদিও গঙ্গা নদীর গভীরতা বা সিন্ধু নদীর গভীরতা অনেক বেশি তবুও এধরনের মাছ বারাণসীর রামনগরের গঙ্গা তো ছাড় সারা ভারত এমনকি পুরো দক্ষিণ এশিয়াতেও পাওয়া যায় না। গঙ্গার ডলফিনদের সুরক্ষা এবং উদ্ধারের কাজে নিযুক্ত একটি নাবিকদের দল এই মাছটিকে উদ্ধার করে।
[৫] বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, এই মাছ গঙ্গার বাস্তুতন্ত্রকে ধ্বংস করতে পারে। পাশাপাশি বিজ্ঞানীদের পরামর্শ, এই মাছ একবার ভারতীয় নদীতে পাওয়া গেলে আর নদীতে না ছাড়তে। বলা হচ্ছে, এই মাছটি যেহেতু মাংসাশী। তাই এটি আশেপাশের প্রাণী খেয়ে জীবনযাপন করে। ফলে এরা যেখানে থাকে, সেখানে অন্য কোনও মাছ বড় হতে পারে না। অন্যদিকে এই মাছটির নিজস্ব খাদ্যমূল্য নেই। কারণ এই মাছের কোনও স্বাদ নেই।
[৬] তবে এই মুহূর্তে জোরালো ভাবে যে প্রশ্ন উঠেছে সে, হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদীতে পাওয়া মাছ কীভাবে ভারতের নদীতে পৌঁছাল। উত্তর এখনও জানা নেই। তথ্য সূত্র কলকাতা ২৪