কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার বাস্ত্যুচুত রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা ও আশ্রয়দানের ক্ষেত্রে যে অনুকরণীয় মানবিক দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করেছে তার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আনা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘন সংক্রান্ত রেজুলেশনে।
[৩] কোভিড-১৯ মহামারির বিস্তার রোধে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মতো বিশ্বের সর্বাপেক্ষা বড় আশ্রয় শিবিরে বাংলাদেশ সরকারের সফল প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে ।
[৪] জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, বাংলাদেশ গৃহীত মানবিক প্রচেষ্টায় সমর্থন প্রদানে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের প্রতিও আহŸান জানানো হয়েছে রেজুলেশনটিতে।
[৫] জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন,এক মিলিয়নেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয়দানকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে এই সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজছে।
[৬] তিনি আশা প্রকাশ করেন, রোহিঙ্গা সংকটের জরুরি সমাধানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহŸানকে রেজুলেশনটি জোরদার করবে, যে সংকটের শেকড় সম্পূর্ণভাবে মিয়ানমারেই নিহিত।
[৭] রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের এই রেজুলেশন আন্তর্জাতিক রীতিনীতির গুরুত্বপূর্ণ এক উৎস হিসেবে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
[৮]রেজুলেশনটি মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের দীর্ঘকাল ধরে চলমান সংকট মোকাবিলায় অবদান এবং মিয়ানমারকে চ্যালেঞ্জসমূহ কাটিয়ে উঠতে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ ঘটাতে সাহায্য করবে।
[৯] রেজুলেশনটি ভোটে দেওয়ার আগে এর সমর্থনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে জার্মানের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং ওআইসি’র পক্ষে সৌদি আরবের স্থায়ী প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন।
[১০] তারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নাগরিকত্ব ইস্যু সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহŸান জানান।