শাহীন খন্দকার : [২] সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে নতুনভাবে ফিরে এসেছে ডেঙ্গু। মশাবাহিত এ রোগের প্রকোপ সেপ্টেম্বর-মাস শেষে কমতে শুরু করলেও চলতি বছর অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
[৬] সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও রোগ গবেষণা ইনস্টিটিউট শাখায় এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার তথ্য পাঠানো হয়েছে।প্রেরিতদের পাঠানো তথ্য থেকে আইইডিসিআর নিশ্চিত করেছে একটি মৃত্যু।
[৩] সম্প্রতি ডেঙ্গু হেমারেজিক ফিভারে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান ডা.জাহিদুর রশীদ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাকালীন এ সময়ে কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে ভর্তি হতে চাচ্ছে না।
[৪] বাসায় বসেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে ডেঙ্গু রোগীদের সঠিক তথ্য মিলছে না। তাই কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরি। এর জন্য প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ।
[৫] শনিবার (৭ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের স্বাস্থ্য তথ্য ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী পরিচালক ডা. মো. কামরুল কিবরিয়া স্বাক্ষরিত হিসাব অনুযায়ী, ৬ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে ৭ নভেম্বর সকাল ৮ টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ১৫ জন।
[৬] এদিকে সারাদেশে ভর্তি রয়েছে ৫২ জন। নভেম্বর মাসে এরইমধ্যে ৮৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে যার মধ্যে বর্তমানে ৬১ জন চিকিৎসাধীন আছেন।