শাহীন খন্দকার : [২] রাজধানীর শেরে বাংলা নগর জাতীয় হৃদরোগ ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন আরও জানালেন, বিশ্বব্যাপী প্রতি ৪ জনে একজন মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তাই এসব বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়লে স্ট্রোক রোগে আক্রান্তের হার ও মৃত্যু কমে আসবে।
[২] স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর জন্য প্রয়োজন দ্রুত চিকিৎসাসেবা। এজন্য দেশের প্রতিটি হাসপাতালে স্ট্রোক ইউনিট চালুর প্রতি গুরুত্ব দেয়া উচিত।
[৩] এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে তথ্য অনুসন্ধ্যানে দেখা যায় হাসপাতালগুলোতে হৃদরোগ স্ট্রোক ইউনিট নেই। বিশেষ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মতো বড় হাসপাতালেও স্ট্রোকের আলাদা কোনো ইউনিট নেই। ঢাকা হাসপাতালের একটি বিশেষ সুত্রে জানা যায়, স্ট্রোক ইউনিট না থাকায়রোগীরা সময়মত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
[৪] অথচ সময়মতো সেবা পেলে পঙ্গুত্বের হাত থেকে যেমন বাঁচতেন সাধারণ মানুষ তেমনি মৃত্যুর হাত থেকেও অনেক রোগী বাচঁতেন। তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন ক্যাথল্যাব চালু হয়েছে। এখান থেকে সাধারন মানুষ বিশ্বমানের সেবা পাবেন।
[৫] কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব চালুর ফলে এনজিওগ্রাম পরীক্ষার পর রোগীদের নাম মাত্র ফি নিয়ে রিং পরানো, পেস-মেকার স্থাপন, হার্টের ভাল্ব রিপেয়ারিংসহ প্রয়োজনে বাইপাস সার্জারি করা যাবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ সেবা পাওয়ার ফলে রোগীদের ভোগান্তি ও খরচ অনেক কমে যাবে বলে সূত্রটি দাবি করেন।
[৬] ডা. মীর জামাল উদ্দিন বলেন, শরীরের সুস্থতা অনেকাংশে নির্ভর করে হার্ট বা হৃৎপিণ্ডের সুস্থতার ওপর। অথচ এ ব্যাপারে উদাসীনতা সবচেয়ে বেশি। ফলে বিশ্বব্যাপী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে।
[৭] প্রতিবছর বিশ্বে অন্তত পৌনে দুই কোটি মানুষ এ রোগে প্রাণ হারাচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০৩০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা ২ কোটি ৩০ লাখে ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাই হৃদরোগ থেকে বাঁচতে হলেই প্রতিরোধই সবচেয়ে উত্তম উপায় বলে জানালেন তিনি।