আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] কোনও এক সময় ভারতের বাচ্চারা খাবার নষ্ট করলে তাদের মায়েরা শাসন করে বলতেন, খাবার নষ্ট করা যাবে না। কারণ প্রতিবেশি বাংলাদেশের বহুশিশু না খেয়ে আছে। বর্তমানের দুই তৃতীয়াংশের বেশি ভারতীয় বাংলাদেশকে এই পরিস্থিতিতে দেখেনি। তবুও তারা এই ধরণের কথাই বিশ্বাস করে এসেছে এতোদিন অন্ধের মতো। আইএমএফ বলছে, চলতি বছর বাংলাদেশিরা গড়ে আয় করবে ১৮৮৮ ডলার, আর ভারতীয়রা করবে ১ হাজার ৮৭৭ ডলার। খুব স্বাভাবিকভাবে অন্ধকারের পেছনে ছোটা ভারতীয়রা ভয়াবহ ধাক্কা খেয়েছে। এসব কথাই বলা হয়েছে, ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় গণমাধ্যমে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে অর্থনীতিবীদ শঙ্কর আইয়ারের লেখা এক নিবন্ধে।
[৩] একদশকের বেশি সয় ধরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল, জন্মহার কমছে এবং জাতীয় আয় বাড়ছে। ভারতের সাধারণ মানুষ এসব সুক্ষ মারপ্যাচ বোঝে না। ফলে তাদের জন্য ভয়াবহ এক ধাক্কা হয়ে এসেছে বাংলাদেশের উত্থান। কিন্তু অর্থনীতিবিদ এবং নীতিনির্ধারকদের জন্য এটা নিশ্চয়ই সত্য নয়। কিন্তু তারাও স্রোতে গা ভাসাচ্ছেন। তাদের আচরণ দেখে মনে হতেই পারেই বাংলাদেশের উত্থান আকষ্মিক। এটা সত্য নয়।
[৪] অনেকে বলেন ব্রিকস গ্রুপের আই একদিন ভারতের বদলে ইন্দোনেশিয়া দ্বারা স্থানান্তর হবে। এটা হয়তো বলার সময় এসেছে, বি তে ব্রাজিল নয়, বাংলাদেশও হতে পারে। এটা দোষনীয় কিছু নয়। ভারতের জন্যও বিব্রত হবার কিছু নেই। কারণ প্রতিবেশির উন্নতি হলে আপনার ক্ষতি হয়না। তবে ভারতের নীতিনির্ধারকদের অনেকেই কষ্ট পাচ্ছেন। এই কষ্টের কোনও বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যা নেই।