শিমুল মাহমুদ: [২] শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আকরাম খাঁ হলে ‘আর্ন্তজাতিক সাইয়িদুল আ’ইয়াদ শরীফ উদযাপন মজলিশ আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এ দাবি জানান। সেমিনারে বক্তারা দাবি করেন, ১২ই রবিউল আউয়াল সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মূল তারিখ। তাই ১২ই রবিউল আউয়াল হাক্বীকীভাবে ব্যাপক জওক-শওক ও মহাসমারোহে পালনের মাঝেই দেশ ও জনগণের সর্বপ্রকার কামিয়াবি ও উন্নতী নিহিত রয়েছে। তাই পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ব্যাপক আয়োজনে ও মহাসমারোহে পালনে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ করে পালনের উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগে বিশেষ নির্দেশনা জারী করতে হবে।
[৩] আলোচকরা বলেন, দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্বের সকল দেশের প্রত্যেক সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো ১২টি বিষয় পালন করা। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে মানহানীকর কোন বিষয় প্রচার, প্রকাশ ও প্রদানকারীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়া। আইন প্রণয়ন করা। দিবসটি উপলক্ষ্যে সরকারিভাবে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ করা। সর্বপ্রকার অশ্লীল ও অশালীন কাজ বন্ধ করা। সকল শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সুমহান জীবনী মুবারক বাধ্যতামূলক করা।
[৪] ১২টি বিষয় প্রসঙ্গে বক্তারা আরও বলেন, দিবসটি উপলক্ষে সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে ছাড় দেয়া এবং বিশেষ পণ্য সামগ্রী তৈরি করা। সর্বস্তরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মতো স্বতন্ত্র শক্তিশালী গবেষণা কেন্দ্র এবং পৃথক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা। দেশের সব মসজিদ-মাদরাসা, ইয়াতীমখানা, মাজার শরীফসহ সব গরীব, দুঃখীদের নতুন পোশাক, ওষুধ বিতরণ, নগদ অর্থ বরাদ্দ ও বিশেষ খাবার সরবরাহ করা। বিশেষ প্রতিযোগীতার আয়োজন করা। আন্তর্জাতিক সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উদযাপন মজলিশকে সর্বোচ্চ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা করা।
[৫] সেমিনারে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন, দৈনিক আল ইহসান এবং মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মুফতিয়ে আ’যম আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ আযীযুল্লাহ এবং শরীফস্থ ঐতিহ্যবাহী মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসার মুহতামিম ও মুফতি আল্লামা মুহম্মদ আলমগীর হুসাইন প্রমুখ।