কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] মানবপাচার ও অর্থপাচার, ঘুষ দেওয়া এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় হুমকির অভিযোগে কুয়েতের কারাগারে থাকা বাংলাদেশি সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে একটি মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন কুয়েতের এমপি সাদাউন হামাদ।
[৩] আরবি দৈনিক আল রাই এর প্রতিবেদনে বলা হয়, পাপুলের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনায় সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কুয়েতের দুই সংসদ সদস্য সাদাউন হামাদ ও সালাহ খুরশিদের বিরুদ্ধে।
[৪] সালাহ খুরশিদ বৃহস্পতিবার শুনানিতে উপস্থিত না থাকায় আদালত ৫ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন তাকে হাজির করতে কুয়েত পুলিশের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে।
[৫] পাপুলকাণ্ডে কুয়েতের দুই সংসদ সদস্য ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি (বরখাস্ত) মেজর জেনারেল শেখ মাজন আল-জারাহর সম্পৃক্ততার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে।
[৬] গত ১৭ সেপ্টেম্বর মামলার প্রথম দিনের শুনানিতে পাপুল অবৈধ মুদ্রা পাচার ও ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন এবং অন্য অভিযুক্তদের চেনেন না বলেও আদালতে দাবি করেছিলেন।
[৭] দেশে পালিয়ে এসে আবার গত ৬ জুন কুয়েত গেলে দেশটির গোয়েন্দা বিভাগ পাপুলকে তাদের হেফাজতে নেয়। ১৪ জুন তাকে আদালতে উপস্থাপন করলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
[৮] কুয়েতের আরবি দৈনিক আল আনবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৭ সেপ্টেম্বর কুয়েতের অপরাধ আদালতের কাউন্সেলর আব্দুল্লাহ আল-ওসমানের আদালতে পাপুলের বিচার শুরু হয়।
[৯] পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব