পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার কোড়ালিয়া থেকে পানপট্টির উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে চালকসহ ১৩ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও পাঁচ জন নিখোঁজ রয়েছেন। হস্পতিবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার আগুনমুখা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটেছে।
ওই স্পিডবোটে থাকা যাত্রীরা জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলার কোড়ালিয়া লঞ্চঘাট থেকে ১৭জন যাত্রীসহ আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজের মালিকানাধীন একটি স্পিডবোট গলাচিপার পানপট্টির উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পথিমধ্যে আগুনমুখা নদীর মাঝখানে ঢেউয়ের তোড়ে তলা ফেটে ১৭ যাত্রী এবং একজন চালকসহ স্পিডবোটটি তলিয়ে যায়। পরে দেড় ঘণ্টা পর দুইটি স্পিডবোট উদ্ধার অভিযান চালিয়ে চালকসহ ১৩ জন যাত্রীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু পাঁচজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান স্পিডবোট মালিক কর্তৃপক্ষ।
কোড়ালিয়া লঞ্চ ঘাটের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও স্পিডবোটটি গন্তব্যে না পৌঁছানোতে কর্তৃপক্ষ উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।
উদ্ধার হওয়া রাঙ্গাবালীর বাহেরচর কৃষি ব্যাংক শাখার ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে স্পিডবোটের সামনের অংশের তলা ফেটে যায়।
উদ্ধার হওয়া একাধিক যাত্রী জানান, আমরা বার বার চালককে স্পিডবোট ঘুরিয়ে ঘাটে নিয়ে আসতে বলেছি। কিন্তু সে আমাদের কথা শোনেননি।
কোড়ালিয়া-পানপট্টি নৌরুটের আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজের কোড়ালিয়াঘাটের ম্যানেজার বশির উদ্দিন বলেন, নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, খবর শুনেছি। আমরা ঘাটে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ১৭ জন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোট ছাড়ার কথা নয়। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে স্পিডবোট ছাড়াও ঠিক হয়নি। আমি ঘাটে এসেছি, খোঁজ খবর নিচ্ছি।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক কাজা সাদিকুর রহমান জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্পিডবোট চালানোর অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির নামে মামলা দায়ের করা হবে। এছাড়া তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের রুট পারমিটও বাতিল করা হবে।