মাছুম বিল্লাহ: [২] ভারতের মেঘালয়ে বাঙালি বিদ্বেষী আন্দোলন ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগোচ্ছে। গত বুধবার রাজধানী শিলঙে পোস্টারিং করে সব বাঙালিকে ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে মেঘালয়ের প্রভাবশালী ছাত্র সংগঠন খাসি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন বা কেএসইউ। মেঘালয় পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে যে সব পোস্টার তারা সরিয়ে নিয়েছে ।
[৩] এ দিকে মেঘালয়ের সাবেক রাজ্যপাল, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রবীণ নেতা তথাগত রায় টুইট করে কেএসইউ-কে শীঘ্র নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন। তথাগতবাবু রাজ্যপাল হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলেছেন, এইচএনএলসি-র মতো কেএসইউ-ও একটি দেশদ্রোহী উগ্রপন্থী সংগঠন যারা ব্রিটিশ জমানা থেকে মেঘালয়ে বসবাসকারী মানুষদেরও তাড়াতে চাইছে।
[৪] এদিকে অল বেঙ্গলি স্টুডেন্ট অ্যান্ড ইউয়ুথ অর্গানাইজেশন নামে একটি সংগঠনের সভাপতি চন্দন চ্যাটার্জি ভোলাগঞ্জ, ইছামতি সহ বাংলাদেশ সংলগ্ন চারটি বাঙালি হিন্দু অধ্যুষিত চারটি গ্রাম সরেজমিনে পরিদর্শন করার যে আবেদন করেছিলেন তা খারিজ করে দিয়েছে মেঘালয় সরকার। রাজ্যের গৃহ দফতরের সচিব জানিয়ে দিয়েছেন, ভোলাগঞ্জ, ইছামতিতে কোনও ধরনের নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি।
[৫] ঠিক পরিস্থিতিতে কেএসইউ-র পোস্টারিং নতুন করে আরও আশঙ্কার জানান দিয়েছে বুধবার। খাসি ছাত্র সংস্থা সোজা ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, সব বাঙালিই বাংলাদেশি। একটি পোস্টারে তো এমনও বলা হয়েছে যে, ‘মেঘালয়, আসাম, মিজোরাম, ত্রিপুরায় বাঙালিরা যে অত্যাচার চালাচ্ছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’ কেএসইউ-র এই অভিযান মারাত্মক চাপে ফেলে দিয়েছে মেঘালয়ের বাঙালিদের।
[৬] এদিকে আরও একটি উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, গোটা ঘটনাটি বাঙালি বিরোধিতার গণ্ডি পেরিয়ে এবার হিন্দু-খ্রিস্টান বিদ্বেষের দিকেও গড়াতে শুরু করেছে।
[৭] কেএসইউ-র অভিযোগ, হিন্দু বাঙালিরা মেঘালয়ের ‘অসাম্প্রদায়িক’ ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছে। অন্যদিকে পুজোর মুখে কেএসইউ দাবি জানিয়েছে, নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া চলবে না, এতে নদী দূষণ হয়।