আহমেদ শামীম: [২] বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শামসুল ইসলাম প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
[৩] ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শামসুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত আঘাতের কারনেই রায়হানের মৃত্যু হয়।
[৪] এর আগে গত ১৭ অক্টোবর ১ম ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেন ফরেনসিক বিভাগ। এ তদন্তের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিলো, ‘ময়নাতদন্তকালে রায়হান উদ্দিনের শরীরে মোট ১১১টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ১৪টি আঘাত গুরুতর ছিল। বাকি ৯৭টি আঘাত ফোলা আকারের জখম রয়েছে। সবগুলো আঘাতই তার মৃত্যুর ২/৪ ঘণ্টা আগে করা হয়েছে। এছাড়া তার ডান হাতের কানিকাসহ দুটি আঙুল ও বাম হাতের অনামিকার নখ উপড়ানো ছিলো। আঘাতের কারণেই রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।’
[৫] ১৫ অক্টোবর রায়হানের মরদেহ পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হয়। এবার রায়হানের ময়নাতদন্তে গঠন করা হয় তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। যার প্রধান করা হয়েছে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক মো. শামসুল ইসলাম।
[৬] রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা করেন তার স্ত্রী। পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে বর্তমানে মামলাটির তদন্ত করেছে পিবিআই। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) রাতেই এই মামলার নথি পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করে এসএমপি।
[৭] এরপর পিবিআই কর্মকর্তারা বুধবার দুপুরে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে যান এবং ঘটনার আলামত সংগ্রহ করেন। এর পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে রায়হানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে পিবিআই। পরে পুনরায় ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে তার মরদেহটি নগরের আখালিয়াস্থ নবাবি মসজিদ সংলগ্ন পঞ্চায়েতি গোরস্থানে দাফন করা হয়। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :