রাহুল রাজ : [২] ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ৩৫ তম ম্যাচে সুপার ওভারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ফারগুসনের বোলিং তান্ডবে হায়দরাবাদকে ২ রানে অলআউট করে জিতল কলকাতা। সেই সাথে ৫ জয়ে সেরা চারে কেকেআর।
[৩] ১৬৩ রানের জবাবে শুরুটা দুর্দান্ত করেছে হায়দরাবাদের হয়ে ওপেন করতে নামা কেন উইলিয়ামসন ও বেয়ারস্টো। দু’জনে ৫৭ রানের জুটি গড়লে ১৯ বলে ২৯ রান করে ফিরেন উইলিয়ামসন। এরপর দলীয় ৭০ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বসে হায়দরাবাদ। ২৮ বলে ৩৬ রান করে বেয়ারস্টো ও ৪ রান করে ফিরেন গর্গ।
[৪] এরপর দলটির অধিনায়ক ওয়ার্নার আসলে আব্দুল সামাদ কে নিয়ে বিপর্যয় সামলিয়ে ১৯ ওভারে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে। ঐ ওভারে শেষ বলে ১৫ বলে ২৩ রান করে ফিরেন সামাদ। শেষ ওভারে হায়দরাবাদের প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। ক্রিজে ছিলেন দলটির অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। রাসেলের করা সেই ওভারে ১৭ রান নিয়ে নেন ওয়ার্নার-রশিদ। টানা ৩ টা চার হাঁকান ওয়ার্নার। যার কারণে ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়াই।
[৫] এরপর সুপার ওভারে হায়দরাবাদ আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম তিন বলে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে। ফারগুসনের করা সেই ওভারে প্রথম বলে ফিরেন ওয়ার্নার। পরের বলে দুই রান সংগ্রহ করলে তৃতীয় বলেও বোল্ড হয়ে ফিরেন সামাদ। এতে ৬ বলে কলকাতার লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৩ রান।
[৬] মাত্র ৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রশিদ খানের ওভারে জয় পেয়ে যায় কলকাতা। প্রথম বলে ডট দিয়ে, দ্বিতীয় বলে ১ রান দেন রশিদ। এরপর তৃতীয় বল ডট হলেও চতুর্থ বলে ২ রান নিয়ে দলকে জেতান কার্তিক।
[৭] এদিন টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিল কলকাতার দুই ওপেনার শুভমান গিল ও রাহুল ত্রিপাথি। দু’জনে মিলে ৪৮ রানের দারুণ জুটি গড়লেও ১৬ বলে ২৩ রান করে ফিরেন ত্রিপাথি। এরপর দলীয় ৮৭ রানে ৫ চারে ৩৭ বলে ৩৬ রান করে গিল ফিরলে দ্বিতীয় উইকেট হারায় কলকাতা৷
[৮] এরপর দলীয় ১ রান যোগ করতে ২০ বলে ২৯ রান করা নিতিশ রানাও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। এদিনও ব্যর্থ ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। ১১ বলে ৯ রান করে ফিরেন তিনি। ১০৫ রানে ৪ উইকেট হারালে বাকি কাজটা করেন বর্তমান অধিনায়ক মরগান ও সদ্য সাবেক হওয়া কার্তিক।
[৯] দু’জনের ৫৮ রানের দারুণ জুটিতে শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৩ রান জড়ো করে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১ ছক্কা ও ৩ চারে ২৩ বলে ৩৪ রান করেন কার্তিক এবং ২ ছক্কা ও ২ চারে ১৪ বলে ২৯ করেন কার্তিক।
আপনার মতামত লিখুন :