মহসীন কবির : [২] রোববার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত কোভিড বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
[৩] কোভিডের ২২৪ তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশ থেকে ১১০টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ হাজার ৮৬৬ জনের। এপর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৬৮ জন। মোট শনাক্ত ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬৯ জন। মোট মারা গেছেন ৫৬৬০ জন।
[৪] মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৩ হাজার ৯৭২ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৭৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৮ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
[৫] বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও নারী দুই জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ছয় জন, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে এক জন করে চার জন। রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে দুই জন করে চার জন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ১৪ জন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন।
[৬] তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১১১ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৬৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৮৪ হাজার ১৯১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৭১ হাজার ৯২৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ২৬৫ জন।
[৭] দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের উপদ্রব শুরু হয়। এটি বর্তমানে বিশ্বের ২১৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ১১ মার্চ কোভিড ১৯-কে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।