রাশিদুল ইসলাম : [২] কোভিড সংক্রমণে মাজা ভেঙে গিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতির। ভয়াবহ আর্থিক অধোগতির মধ্যে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ। পরিস্থিতি যখন এমনই তখন মার্কিন সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গের সমীক্ষা রিপোর্ট তুলে ধরে কোভিড-উত্তর বিশ্ব অর্থনীতি কেমন হতে পারে তার একটা পূর্বাভাস দিল আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার তথা আইএমএফ।
[৩] বলা হয়েছে, ২০২১ সালে সারা বিশ্বে যে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি হবে তার ২৬.৮ শতাংশ হতে পারে চীনে। আরও চার বছর পর অর্থাৎ ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ২৭.৭ শতাংশ। বলা হয়েছে, এক লাফে এই বৃদ্ধির ফলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃদ্ধির হারকে বেশ কিছুটা পেছনে ফেলে দিতে পারে চীন। তবে ভারত, জার্মানি এবং ইন্দোনেশিয়ার নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে এই তিন দেশ।
[৪] আইএমএফ আরও বলেছে, বিশ্ব অর্থনীতিতে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার যে সূচক রয়েছে তাতে এই মুহূর্তে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে মার্কিন অর্থনীতির অবদান ২৩ শতাংশ। চীন সেখানে অনেকটাই পিছনে, ১৫.৫ শতাংশ। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার বলছে, ২০২৫ সালে এই সূচকের নিরিখে চীন পৌঁছে যেতে পারে ২৭ শতাংশের কাছাকাছি। যুক্তরাষ্ট্র নেমে আসতে পারে ১০ শতাংশের আশপাশে। ১৩ শতাংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উপরে উঠে যেতে পারে ভারত।
[৫] জিডিপির নেগেটিভ গ্রোথ অর্থাৎ সংকোচন নিয়ে তিন মাস আগে আইএমএফ যে রিপোর্ট দিয়েছিল তার সামান্য বদল হয়েছে। দেখা আগে বলা হয়েছিল চলতি অর্থবর্ষে ৪.৯ শতাংশ সংকোচন হবে। এখন বলা হচ্ছে ৪.৪ শতাংশ হতে পারে। খুব সামান্য হলেও অর্থনীতির অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়েছে এই তথ্যে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বিশ্ব অর্থনীতিতে সার্বিক বৃদ্ধি হতে পারে ৫.২ শতাংশ।
[৬] আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের তরফে আরও বলা হয়েছে ব্রাজিল, মেক্সিকো, ভারত, ব্রিটেন– এই সমস্ত দেশগুলিতে করোনার অভিঘাত ব্যাপক। যার ফলে কয়েক কোটি মানুষের ক্রয় ক্ষমতা এক ধাক্কায় কমে যেতে পারে। যা উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদদের অনেকে।
[৭] কোভিড উত্তর বিশ্ব অর্থনীতিতে গরিব মানুষের জন্য আরও দুর্দিন অপেক্ষা করছে। তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে আইএমএফ-এর রিপোর্টে। যাতে বলা হয়েছে, একদিকে যেমন বহু মানুষ গরিব হবেন তেমন উল্টোদিকে অতিরিক্ত গরিবের তালিকায় চলে আসবেন আরও ন’কোটি মানুষ।