ভূঁইয়া আশিক: [২] সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবির বললেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন-ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সদিচ্ছার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে|
[৩] তিনি বলেন, রোহিঙ্গা একটা জটিল ইস্যু। অনেক কিছু জড়িত এখানে। সংকট সুরাহায় যারা সহযোগিতা করতে চান, প্রেক্ষাপট মনে রেখে কী উদ্যোগ নিচ্ছেন তার উপর মূল্যায়ন হবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি। আশা করছি, চীন-ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের ইতিবাচক বক্তব্য বাস্তবে কাজে লাগবে।
[৪] অং সান সু চির ইতিবাচক মনোভাব প্রয়োজন। কারণ তিনি নীতিনির্ধারক। তার একটি ইতিবাচক বক্তব্য সমস্যা সমাধান অনেক সহজতর হবে।
[৫] আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদের মতে, সামরিক বাহিনীর সাত-আটজন সদস্যের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, কিন্তুতারা তো ব্যবসা করে যাচ্ছে। গণহত্যা, মানবাধিকার নিয়ে যদি তারা সত্যিই চিন্তিত হয়, তাহলে মিয়ানমারের উপর বড় আকারের চাপ দিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।
[৬] বাংলাদেশ যাতে প্রশংসা না পায়, সেটি ঠেকানোর জন্যই ভাসানচরের বিরোধিতা করছে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী।
[৭] ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক, ড. দেলোয়ার হোসেন মনে করেন, বাংলাদেশের অনুরোধে রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন ও ভারত তার অবস্থান পরিবর্তন করবে না। যে স্পিরিট থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ইস্যুতে চীন ও ভারতকে একই স্পিরিটে ভাবতে হবে। তা না করলে সেটা হবে কূটনৈতিক আইওয়াশ।
[৮] রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীন তিন দেশের তিন ধরনের অবস্থান। তিনটি দেশই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আগের চেয়ে অনেক নমনীয়।
আপনার মতামত লিখুন :