লিহান লিমা: [২] গবেষণায় উঠে এসেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৯৯৫ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের অর্ধেকেরও বেশি কোরাল ধ্বংস হয়েছে। এই সময় মৃত ও মৃতপায় কোরাল নিজেদের রং হারিয়ে বিবর্ণ হয়েছে। বিবিসি/সিএনএন
[৩]বিজ্ঞানীরা ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কোরালের স্বাস্থ্য এবং আকৃতি পর্যালোচনা করে দেখেছেন তাদের প্রজাতি ও আকার ৫০ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়েছে। বড় ্ও প্রাচীন কোরালগুলো মারা য্ওায়ায় নতুন কোরাল জন্ম নিচ্ছে না। তারা সতর্ক করে বলেছেন, ‘আর সময় নেই। আমাদের অতিসত্ত্বর গ্রীন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস করতে হবে।’
[৪] বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্ব ঐতিহ্যের এই স্থানটির সমুদ্রতলদের বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস হতে বসেছে। এর প্রাকৃতিক, বৈজ্ঞানিক এবং পরিবেশগত মূল্য অকল্পনীয়। করোনা ভাইরাস মহামারীর পূর্বে ২ হাজার ৩০০ কিলোমিটারের এই রিফটি অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতির পর্যটন খাতে বছরে ৪ বিলিয়ন ডলারের অবদান রাখতো। তবে ক্রমবর্ধমানভাবে সামুদ্রিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরির্তনের কারণে রিফতি তার বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা হারাতে বসেছে।
[৫] যদি প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এই শতাব্দীতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা যায় তবে আশ করা যাচ্ছে কোরালগুলো পুর্নজীবন পেতে পারে।