অনির্বাণ আরিফ: যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সোচ্চার গণমাধ্যম ছিলো একাত্তর টিভি। সাঈদীকে চাঁন্দে দেখানোর গুজবের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সোচ্চার গণমাধ্যম ছিলো একাত্তর টিভি। হেফাজতের সহিংসতা এবং বাংলাদেশের সংবিধান বিরোধী তথাকথিত ১৩ দফার বিরুদ্ধে সবচেয়ে সোচ্চার গণমাধ্যম ছিলো একাত্তর টিভি। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর নামে জামায়াতে ইসলামের দেশব্যাপী তাণ্ডব, পেট্রোলবোমা হামলা এবং গণতন্ত্রের নামে সহিংসতার বিরুদ্ধে সবচেয়ে সোচ্চার গণমাধ্যম ছিলো একাত্তর টিভি। ধর্ষণ, গুম, খুনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সোচ্চার গণমাধ্যম একাত্তর টিভি। গণতন্ত্রের পক্ষে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার একাত্তর টিভি। সংখ্যালঘু হত্যা, সাম্প্রদায়িক সংঘাত, নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার গণমাধ্যম একাত্তর টিভি। রকেট, হেলিকপ্টার খ্যাত বিজ্ঞানী এবং করোনা টিকা আবিষ্কার করার দাবিদার অসুস্থ কাঠবাদামদের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার গণমাধ্যম একাত্তর টিভি।
তারাই একাত্তর টিভির বিরোধী যারা সাম্প্রদায়িক চিন্তা লালন করে, সাঈদীদের চাঁন্দে কল্পনা করে, হেফাজতের ১৩ দফার পক্ষে কথা বলে, ধর্ষণের জন্য নারীদের দোষারোপ করে এবং বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক ৪ নীতিকে অস্বীকার করে। একটি গণমাধ্যম অবশ্যই স্যেকুলার হবে। কারণ গণমাধ্যম সব জনগণের মাধ্যমে। কিন্তু বাংলাদেশের বিএনপি, সুশীল আসিফ নজরুল, নূরুল কবির, মাহমুদুর রহমান, পিনাকী, শিবির, নূরা, হেফাজত, চর্মনাই ইত্যাদি সাম্প্রদায়িক চিন্তার গোষ্ঠীর কাছে গণমাধ্যম মানে হলো, আমার তলদেশ বা দিগন্ত টিভি অথবা সংগ্রাম, সোনার বাংলা পত্রিকা। এদের কাছে একাত্তর টিভি, চ্যানেল আই, প্রথমআলো, বিবিসি নিউজ দালাল। কেউ সরকারের দালাল, কেউ ভারতের দালাল, কেউ আমেরিকার দালাল। গণমাধ্যম কী, গণমাধ্যমের বৈশিষ্ট্য কী, গণমাধ্যমের কাজ কী এসব বিষয়ে ওপরে বর্ণিত গোষ্ঠীগুলোকে সম্ভবত পড়াশোনা করানো দরকার, না হলে এরা ছাগলামি করেই যাবে! ফেসবুক থেকে