শাহীন খন্দকার: [২] রাজধানীতে ট্রাফিক জ্যামে গাড়ির চাকা আটকে গেলেই, ছিন্নমূল মানুষদের জীবনের চাকা ঘুরতে শুরু করে। গাড়ি থামা মাত্রই বিভিন্ন খাদ্য ও পণ্যদ্রব্য নিয়ে যানবাহনের দিকে দৌড়াতে শুরু করেন তারা।
[৩] ঢাকার প্রতিটি সিগন্যালেই হকারদের উপস্থিতি দেখা যায়। কেউ শসা, বাদাম, আমড়া, পেয়ারা, কেউ পানি কিংবা চিপস বিক্রি করছেন। এর বাইরে নিত্যদিনের ব্যবহারযোগ্য কিছু চায়না পণ্য বিক্রি করেন তারা।
[৪] জ্যামে বসে সময় কাটানোর জন্য খাবারকেই বেছে নেন বেশিরভাগ যাত্রী।
[৫] হকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজধানীর প্রায় একশত ট্র্যাফিক সিগন্যাল-পয়েন্টে এবং বাসস্ট্যাণ্ডে হকার হিসেবে যুক্ত রয়েছেন ১৫ থেকে ২০ হাজার।
[৬] পানি বিক্রেতা ফরিদ (২০)। গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ, থাকেন ঢাকার গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া এলাকায়। প্রতিদিন ঢাকার রাস্তায় পানি বিক্রি করে বোতল প্রতি ৫ টাকা লাভ করেন তিনি।
[৭] দৈনিক তার আয় প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পানি বিক্রি করেন তিনি।
[৮] আমড়া বিক্রেতা আলাল (১৭) জানালেন, প্রতিদিন তিনশ থেকে ছয়শ আমড়া বিক্রে করেন। জ্যাম থাকলে বিক্রি বেশি হয়। তার সারাদিনের যে আয়, তাতে কোনও রকম ঘর ভাড়া দিয়ে পরিবারের খরচ চালান।
[৯] জামাল জানান, সকালের অফিস টাইম আর দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটে। কারণ, এই সময় গাড়ির চাপ থাকে অনেক। যখন রাস্তায় গাড়ি থাকে না, তখন একপাশে বসে থাকতে হয়। ট্র্যাফিক সিগন্যাল পড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির কাছে দৌড়ে যান। এভাবেই চলে হকারদের প্রতিদিনের জীবন।সম্পাদনা : রায়হান রাজীব