লিহান লিমা: [২] জাতিসংঘের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের আন্তর্জাতিক কৌশল অফিসের ‘জলবায়ুর কারণে ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মানবসভ্যতার ক্ষতি’ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, চরম আবহাওয়া, তাপদাহের কারণে দাবালন বাড়ছে, খরা এবং তাপদাহের সৃষ্টি হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ৭ হাজার ৩৪৮টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা গিয়েছে। হতাহত হয়েছেন ১২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বিশ্বের ৪.২ কোটি মানুষ। বৈশ্বিক অর্থনীতির ২.৯৭ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ডয়েচে ভেলে/দ্য গার্ডিয়ান
[৩] জেনেভা ভিত্তিক এই সংস্থাটির মতো গত ২ দশকে চরম আবহাওয়ার কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।
[৪] জলবায়ুর এই বিরুপ অবস্থা ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের জন্য বিশ্বনেতাদের দায়ী করেন জাতিসংঘ কমিটির সদস্যরা। তারা বলেন, বিশ্বনেতারা শুধুমাত্র জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা হ্রাস করতেই ব্যর্থ হন নি সেই সঙ্গে তারা বৈশ্বিক মহামারী মোকাবেলায়ও ব্যর্থ হয়েছেন। গত ৩ মাসে এই মহামারীতে ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হওয়াসহ মারা গিয়েছেন ১০ লাখের বেশি।
[৫] জাতিসংঘ প্রতিবেদনে বাংলাদেশ এবং ভারতকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে বিশেষ সতর্ক করা হয়। এতে বলা হয় বন্যা ও সাইক্লোনের কারণে এই দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারেন।
[৬] প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০ বছরে হওয়া হাজারো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এশিয়া। এই অঞ্চলে ৩ হাজার ৬৮টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছে, আমেরিকাতে এই সংখ্যা ১ হাজার ৭৫৬ এবং আফ্রিকাতে ১ হাজার ১৯২।