রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারতে হাথরস নারী নির্যাতনের ঘটনায় জেলাশাসক ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকায় সোমবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনৌ বেঞ্চে বিচারপতি বলেন, পরিবারের অনুমতি ছাড়া রাত ২টার সময় দেহ নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা নিন্দনীয়। কীভাবে পুলিশ এমন ঘটনা ঘটাতে পারল? জেলাশাসক ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্ন,‘ধনী পরিবারের মেয়ে হলে পারতেন তো এ ভাবে দেহ তুলে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দিতে?’ টাইমস অব ইন্ডিয়া/এনডিটিভি
[৩] পুলিশের এডিজি এলাহাবাদ হাইকোর্টে দাবি করেন, হাথরসের ঘটনা আন্তর্জাতিক চক্রান্ত। যোগী সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। জেলাশাসক প্রবীন কুমারের বক্তব্যও ছিল একইরকম। বিচারপতি তাদের প্রশ্ন করেন, কী ভাবে জানলেন ধর্ষণ হয়নি?
[৪] হাথরস মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১ নভেম্বর। নির্যাতিতা তরুণীকে নিয়ে ফের যোগী আদিত্যনাথকে উদ্দেশ্যে টুইটে রাহুল গান্ধী লিখেছেন, অনেক ভারতীয়রাই মুসলিম, দলিত জনজাতিদের মানবিক দৃষ্টিতে দেখে না। দলিত পরিবারের তরুণী উপর নির্যাতনের ঘটনায় তাই মুখ্যমন্ত্রী ও তার পুলিশ বলেছে ধর্ষণ হয়নি। কারণ, দলিত জনজাতির মূল্য তাদের কাছে বিশেষ নেই।
[৫] হাথরস ঘটনায় তদন্তে গাফিলতিতে এসপি-সহ পাঁচ পুলিশ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে হাথরস গ্রামে নির্যাতিতা তরুণীর মৃতদেহ জোরজবরদস্তি করে তুলে নিয়ে গম ক্ষেতে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। নির্যাতিতার মা অ্যাম্বুলেন্সের উপর পড়ে বুকফাটা আর্তনাদ করলেও সকলকে টেনে হিঁচড়ে ঘরে ঢুকিয়ে তালাবন্ধ করতেও দেখা যায় পুলিশকে।