খান আসাদ: আজকের বাংলাদেশেও পুঁজির সাথে শ্রমের দ্বন্দ্বই প্রধান দ্বন্দ্ব। নারীর প্রতি সহিংসতা বলুন, রাষ্ট্রের সাথে নাগরিকের দ্বন্দ্বই বলুন আর সংস্কৃতিতে সেক্যুলার জাতিয়তাবাদের সঙ্গে রাজনৈতিক ইসলামের সাম্প্রদায়িকতা-মৌলবাদ-জঙ্গিবাদের দ্বন্দ্ব বলুন, এর ভিত্তি ওই শ্রেণিশোষণমূলক বৈষম্যের অর্থনৈতিক ভিত্তিকাঠামো বা উৎপাদন প্রণালির চরিত্রের উপরই দাঁড়িয়ে আছে। মৌলিক শ্রেণিপ্রশ্ন, সাম্রাজ্যবাদের নয়া উদারবাদী উন্নয়ন নীতি, ধর্মের সহিংস মৌলবাদী ধর্মসন্ত্রাস, এসবগুলোকেই বিবেচনায় নিয়ে আপনার রণনীতি ও রণকৌশল নিতে হবে। জাতীয় প্রশ্নে যাদের সাথে ঐক্য হতে পারে, তারা আপনার বন্ধু নাও হতে পারে, কিন্তু জাতীয় প্রশ্নে, মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে টিকিয়ে রাখার প্রশ্নে, দোদুল্যমান উদারনীতিক রাজনীতিকে, চরম রক্ষণশীল ফ্যাসিস্টদের থেকে আলাদা করার, একটি কৌশল থাকতেই হবে। সেটিও একটি সংগ্রাম। কিন্তু কেবল জাতীয় প্রশ্নে ঐক্য কাজ করবেনা, যদি আপনি গোটা বামপন্থী শক্তিকে সংঘবদ্ধ করার কৌশল না নেন, শ্রেণিপ্রশ্ন তথা সুষমবণ্টনের প্রশ্ন জাতির সামনে না আনতে পারেন। রাজনীতি একটি বিজ্ঞান ও শিল্পও। সৃজনশীলতা খুব দরকার। (টু হুম ইট মে কনসার্ন।) ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :