শিরোনাম
◈ সমৃদ্ধ গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের পাশে কমনওয়েলথ: ঢাকায় আসছেন মহাসচিব ◈ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আপিল বিভাগের রায় আজ ◈ স্নাইপার সাফারি: অর্থের বিনিময় মানুষ গুলি করার ‘খেলা’ চালানোর অভিযোগ উঠেছে তিন দশক পর (ভিডিও) ◈ রামপুরায় টিভি ভবনের সামনে বাসে আগুন (ভিডিও) ◈ নিউইয়র্কে পা রাখলেই গ্রেপ্তার করা হবে নেতানিয়াহুকে: হুঁশিয়ারি জোহরান মামদানির ◈ পল্লবী থানার সামনে পরপর তিন ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে পালালো দুর্বৃত্তরা—আহত ৩ ◈ সাবেক আ.লীগ সরকারের ৩৩২ কোটি টাকায় রোজ গার্ডেন কেনা নিয়ে অনুসন্ধানে দুদক ◈ বাংলাদেশকে বিজনেস ভিসা দেওয়া শুরু করেছে ভারত: প্রণয় ভার্মা ◈ ভোটার কার্ড করেন ৩০ হাজার টাকায়, পাসপোর্ট করতে গিয়ে আটক ◈ গণভোট প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর জিজ্ঞাসায় সিইসির জবাব: ‘আইন ছাড়া সম্ভব নয়’

প্রকাশিত : ১২ অক্টোবর, ২০২০, ০৯:৫০ সকাল
আপডেট : ১২ অক্টোবর, ২০২০, ০৯:৫০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিজের অপহরণের গল্প ফেঁদে বাবার কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

অনলাইন ডেস্ক: বাবার থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে নিজেই নিজের অপহরণের ছক করল পড়ুয়া।‌ এমনকি, কাঁদো কাঁদো গলায় ফোন করে টাকাও চাইল এবং শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ল। শুনতে সিনেমার মতো মনে হলেও এমনটাই ঘটেছে ভারতের তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে। এক ১৪ বছরের নাবালক বাবার থেকে টাকা নিতে নিজেই নিজের অপহরণের গল্প ফাঁদে। তারপর বাবাকে ফোন করে টাকা চায়। যদিও শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় সে।

জানা গেছে, ঘটনার দিন হঠাৎ করেই ওই ছেলেটির বাবার ফোনে একটি ফোন আসে। তাতে ছেলেকে কাঁদো কাঁদো গলায় বলতে শোনেন, তাকে কেউ অপহরণ করেছে। মুক্তিপণ হিসেবে দশ লাখ টাকা দিতে হবে। এরপরই পেশায় গাড়ির যন্ত্রাংশের বিক্রেতা ওই ব্যক্তি চেন্নাইয়ের ট্রিপলিক্যানের জ্যামবাজার পুলিশ স্টেশনে যান। পুলিশের কাছে গোটা ঘটনাটি খুলে বলেন। তিনি জানান, ছেলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। কোচিং ক্লাসে সে যাওয়ার পরই এসেছে অপহরণের ফোন।

এরপর দ্রুত তদন্তে নামে পুলিশ। যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল, সেটিকে ট্র‌্যাক করা হয়। দেখা যায় ফোনটি চিপক এলাকায় রয়েছে। এরপর চিপক রেল স্টেশনে ছেলেটিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তখনও আসল ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন না খোদ পুলিশ কর্মকর্তারা। এরপরই ছেলেটিকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবা শুরু করেন অফিসাররা। তখনই তার কথায় অসঙ্গতি মেলে।

এরপর স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায়, একটি অটো রিকশা করে ওই ছাত্র এবং তার বন্ধুরা স্টেশনে নামে। এরপর অটোচালককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানা যায়, ওই ছেলেটি তার বন্ধুদের সঙ্গে কোচিংয়ে না গিয়ে ফোন থেকে অটো বুক করে চিপক স্টেশনে আসে। এরপরই সত্যিটা স্বীকার করে নেয় ছেলেটি। শেষ পর্যন্ত মামলা রুজু না করে সতর্ক করেই তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়