মোরশেদ সরদার: [২] এক সপ্তাহ পরেই হিন্দু সপ্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হবে। পূজাকে বর্ণিল করতে প্রতি বছরের মত এবারও কাশিয়ানীতে চলছে নানা আয়োজন।
[৩] প্রতিটি পূজা মন্ডপে চলছে শেষ মূহুতের্র প্রস্তুতি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ সম্পন্ন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা নির্মাণ শিল্পীরা।
[৪] এখন শুধু চলছে সাজ-সজ্জায় ও রংয়ের কাজ। সীমিত পরিসরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হলেও বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে পূজামন্ডপগুলো।
[৫] কাশিয়ানী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ২১৯ পুজামন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি মন্দিরের অনুকূলে সরকারিভাবে ৫শ’ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
[৬] প্রতিমা নির্মাণশিল্পী কালিপদ পাল বলেন, ‘খড়, ছন ও কাঁদামাটি দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে প্রতিমা। এখন শুধু প্রতিমার পরিপূর্ণ রূপ দিতে রং তুলির শেষ আচড় দেওয়া হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ করা হবে।’
[৭] কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আজিজুর রহমান জানান, দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন ও যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রতিটি পূজামন্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং মন্দির কমিটির স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা নিয়োজিত থাকবে।
[৮] উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রথীন্দ্রনাথ রায় জানান, শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপুজা সম্পন্নের লক্ষ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হবে।
[৯] এদিকে, দূর্গাপুজাকে সামনে রেখে উপজেলার সর্বত্র বইতে শুরু করেছে উৎসবের আমেজ। যদিও এখন পর্যন্ত বিপনী বিতানগুলোতে পূজার কেনাকাটা শুরু হয়নি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :