শাহীন খন্দকার : [২] বিএসএমএমইউ বিশ্ব হসপিস ও প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস উদযাপিত হয়েছে। এবারের দিবসটির মুল প্রতিপাদ্য ‘আমার যত্ন-আমার স্বস্তি। নিরাপদ জন্মের সাথে সাথে নিরাপদ মৃত্যুকে নিশ্চিত করা আজ সময়ের দাবি।
[৩] শনিবার (১০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রেসবার্তায় বলা হয় প্যালিয়েটিভ মেডিসন বিভাগের উদ্যোগে ডা. মিল্টন হলে ‘কোভিড ১৯ মহামারীতে প্যালিয়েটিভ কেয়ার, বাংলাদেশ গাইডলাইন’ নামক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সুনীল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, নিরাময় অযোগ্য বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের সেবার বিষয়ে প্রচারণা, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিস্তার ঘটাতে বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব হসপিস অ্যান্ড প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস’।
[৪] বিশ্বজুড়ে নিরাময় অযোগ্য মৃত্যুপথযাত্রী মানুষ ও তাদের ভুক্তভোগী পরিবারের জন্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এক হয়ে প্রতি অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শনিবার এই দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। তিনি বলেন, প্যালিয়েটিভ কেয়ার (প্রশমন সেবা) নিরাময় অযোগ্য ও জীবন সীমিতকারী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক প্রয়োজন নিরূপণ ও সমাধানের জন্য একটি বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা ব্যবস্থা।
[৫] বিএসএমএমইউতে সেন্টার ফর প্যালিয়েটিভ কেয়ার ২০০৮ সাল থেকে সেবা দিয়ে আসছে। বহিঃবিভাগ, অন্তঃবিভাগ, দিবা সেবা, লিম্ফিডিমা কেয়ার,রেজিস্টার্ড রোগীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা টেলিফোন সার্ভিস চালু রয়েছে।
[৬] অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, চীফ এস্টেট অফিসার ডা. এ কে এম শরীফুল ইসলাম প্রমুখ।