লিহান লিমা: [২] নোবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয় ‘ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই, সংঘর্ষপূর্ণ এলাকাগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠার অবদান এবং খাদ্যকে যুদ্ধ ও সংঘর্ষের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা প্রতিরোধে প্রচেষ্টার জন্য জাতিসংঘ অধিভূক্ত বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) কে এই পুরস্কারের সম্মানিত করা হচ্ছে। নোবেলওআরজি
[৩] বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এই মানবাধিকার সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে ক্ষুধা প্রতিরোধ ও খাদ্য নিরাপত্তা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত সংস্থাটি প্রায় ৮৮টি দেশের ১০ কোটি মানুষকে কর্মসূচির আওতায় এনেছে। ডব্লিউএফপি এর মুখপাত্র এক বিবৃতিতে নোবেল শান্তি পুরস্কারকে ‘গর্বের মুহুর্ত’ বলে মন্তব্য করেন।
[৪] নোবেল কমিটি জানায়, ২০১৫ সালে জাতিসংঘের স্থায়ী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের খাদ্য সংকট প্রতিরোধকে অন্যতম গুরুত্ব দেয়া হয়। কিন্ত সাম্প্রতিক বছরে পরিস্থিতিত আরো খারাপ হয়েছে। যুদ্ধ ও সশস্ত্র সংঘর্ষের কারণে ২০১৯ সালে বিশ্বের ১৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষ খাদ্য সংকটে পড়েছে।
[৫] নোবেল কমিটির প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাস মহামারী এই সংকটকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। ইয়ামেন, সুদান, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ সুদান ও বুরকিনা ফাসোর মতো দেশগুলো ছাড়াও বিশ্বজুড়ে শতশত মানুষ খাদ্য সংকটে পড়েছেন। ‘টিকা হাতে পাওয়া পর্যন্ত খাদ্যই এই সংকটের বিরুদ্ধে সেরা টিকা’ থিম নিয়ে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি অভিনবভাবে এই সংকট মোকাবেলায় কাজ করছে।
[৫] এই সময় নোবেল কমিটি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, যদি বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ও অন্যান্য খাদ্য নিরাপত্তাভিত্তিক কর্মসূচিগুলো তাদের প্রয়োজনীয় তহবিল না পায় তবে বৈশ্বিক খাদ্য সংকট আরো মারাত্মক আকার ধারণ করবে। এছাড়া যতদিন আমরা যুদ্ধ ও সশস্ত্র সংঘর্ষ বন্ধ করতে না পারবো ততদিন এই খাদ্য সংকট দূর হবে না।
[৬] গত বছর ২০ বছরের সামরিক দ্বন্দ্ব অবসানে ইরিত্রিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তির জন্য নোবেল পান ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবে আহমেদ।
[৭] ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে অবদানের জন্য নোবেল পান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এছাড়া ২০০২ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার, ২০১৪ সালে মালালা ইউসুফজাই , ২০১২ সালে ইউরোপিয় ইউনিয়ন, ২০০১ সালে জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনান, ১৯৯৩ সালে নেলসন ম্যান্ডেলা ও ১৯৭৯ সালে মাদার তেরেসা নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। সম্পাদনা: ইকবাল খান