সিরাজুল ইসলাম: [২] রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত পাঁচ দেশের সঙ্গে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা চুক্তি কারাবাখের ক্ষেত্রে কার্যকর নয়। এ কারণে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে চলমান যুদ্ধে তারা হস্তক্ষেপ করবে না।
[৩] তিনি বুধবার বলেন, আর্মেনিয়া রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সিএসটিও সামরিক জোটের সদস্য। এ জোট বাইরের আগ্রাসন থেকে সদস্য দেশগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করে। কারাবাখের ক্ষেত্রে এ জোট বা চুক্তি কার্যকর নয়। কারণ নাগরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের মধ্যে অবস্থিত। তারা আর্মেনিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। এর আগে পুতিন বলেছেন, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যে সংঘাত চলছে তা আর্মেনীয় ভূখণ্ডে নয়।
[৪] মুসলিম প্রধান দেশ আজারবাইজানকে জোরালো সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক। আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান ইরানের প্রতিবেশী। আজারবাইজানকে সমর্থন দিচ্ছে ইরান। ইরান আবার রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে রাশিয়া ও তুরস্কের মতো আঞ্চলিক শক্তিগুলোও এতে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছিলেন বিশ্লেষকরা।
[৫] কারাবাখ অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করছে জাতিগত আর্মেনিয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। দীর্ঘ বছরের উত্তেজনার পর ২৭ সেপ্টেম্বর কার্যত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত যুদ্ধে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়। ১০ লাখের বেশি আজেরিয় এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়। বছরের পর বছর নতুন নতুন এলাকা দখল করে আসছিলো আর্মেনিয়রা। সূত্র: আনাদোলু, আলজাজিরা, এএফপি