নূরী জাহানারা: বদলানো নারী নীতিকে বাতিল করে নতুন করে সাম্য ও সমানাধিকারের আলোকে ইনক্লুসিভ নারী নীতি করতে সরকারকে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। ধর্ষকের কঠিনতম সাজার দাবি তুলুন। রাষ্ট্রীয় কোনো নীতিতে ধর্মীয় গোষ্ঠীর কোনো ভূমিকা থাকবে না দাবি করতে হবে। ধর্মেও আছি ধর্ষণেও আছি, এ জাতীয় সরকার চাই না, সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে। ধর্মীয় গোষ্ঠী নারী বিরোধী বক্তব্য দিতে পারবে না। খোলাসা করে দাবি করুন। নারীবিরোধী কথা বললেই তাকে ধোলাই দিতে প্রস্তূত থাকতে হবে। সিড-র যে দুটো ক্লজে সরকার এখনো সম্মতি দেয়নি, সেগুলো সাইন করতে সরকারকে চাপে ফেলতে হবে। যদি এসব দাবিতে রাজি না হন, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা আসলে আপনি বন্ধ করতে চান না, এ ইস্যুকে ব্যবহার করে আপনার দলের নাম ফাটাতে চান। প্রত্যেক নারীকে ও তার সঙ্গীকে বলছি, মনে রাখুন আপনার আত্মরক্ষার অধিকার আছে। ধর্ষককে ছাড় দেবেন না। আত্মরক্ষার হাতিয়ার... করতে শিখুন।
আওয়ামী লীগ, হোক বিএনপি হোক, হোক চাচা কিংবা বাপ, ধর্ষককে ছাড় দেবেন না। ঢেকে কথা বলি না আমি। যারা নারী ইস্যুকে নজের ইস্যু হিসেবে কথা বলছেন, ধন্যবাদ, বলুন। নারী ইস্যু নারীর ইস্যু নয়। তা সমাজের ইস্যু। তা নারী পুরুষ উভয়ের ইস্যু। তবে আপনার দলের বা পার্টির বা সংগঠনের নারী নীতি আমাদের পড়তে পাঠালে ভালো হতো। যদি না থাকে, একটি বানান। আমরা পড়ি। সবচেয়ে বড় নারী নিপীড়নকারীগুলোকে দেখছি না যে, তাদের মিডিয়ায় না দেখলে পরাণ পুড়ে। নারী নিপীড়ন বন্ধ হতে শুরু করবে সেই মুহূর্ত থেকে যে মুহূর্তে আপনি নিজে অন্য নারীকে আপনার মতোই মানুষ ভাবতে শুরু করবেন, তাকে মানুষ হিসেবে বুঝতে শুরু করবেন। আপনার সমান আর কেউ এই ভাবনাটাই সবচেয়ে কঠিন। মাথা থেকে পিতৃতন্ত্রের যাবতীয় শিক্ষা মুছে ফেলে সচেতনভাবে নারী ও পুরুষ আসলে সুখে-দুঃখে আনন্দে বেদনায়, কম বা বেশি বুঝাÑ সব নিয়েই তারা মানুষ এবং তাদের হ্যাঁ, বা না বলার অধিকার সমান। ভাবনাটা রোপন করতে পারলে, সে অনুযায়ী নিজেকে চালিত করতে পারলে, সে মুহূর্ত থেকে নারী নিপীড়ন কমতে শুরু করবে। কারণ জাতির সমানাধিকার চেতনা সে মুহূর্ত থেকে নতুন একজন অ্যাকটিভ সমর্থক পাবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :