মনজুর অনিক: [২] নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও সারাদেশে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ চাষাড়ায় ৭ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
[৩] বুধবার সকাল ১১টা থেকে বেলা দুপুর পর্যন্ত চাষাড়া বিজয়স্তম্ভের সম্মুখে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এইসময় নারী আন্দোলন কর্মীদের হাতে বাঁশের লাঠি দেখতে পাওয়া যায়।
[৪] এর আগে সারাদেশে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ প্রীতিলতা বিগ্রেড গণজমায়েতের আহ্বান করে। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সকাল ১০ টা থেকে শহীদ মিনারে জমায়েত হতে শুরু করে মহিলা কলেজ, নারায়ণগঞ্জ কলেজ, সরকারি তোলারাম কলেজ, মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়, মিসির আলী কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। পরে সকাল ১১টায় শহীদ মিনার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ঘুড়ে চাষাড়া এসে শেষ হয়। পরে সেখানেই সড়কে বসে আন্দোলন শুরু করে তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা দধর্ষকের বিরুদ্ধ লড়াই হবে একসাথেদ, আমার বোন ধর্ষিতা কেন? প্রশাসন জবাব চাইদ, ইত্যাদি স্লোগান দেয়।
[৫] পরে শিক্ষার্থীরা তাদের ৭ দফা দাবি উল্লেখ করে বলেন, ধর্ষণ আইন পুনঃবিবেচনার মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করা, ধর্ষণজনিত ঘটনা বা অপরাধের জন্য আলাদা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল গঠন এবং ৩০-৬০ কার্যদিবসের মাঝে বিচার সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া তৈরি করা, নির্যাতিত নারীর বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা, জেলায় জেলায় ধর্ষণ প্রতিরোধে পুলিশের আলাদা টাস্কফোর্স গঠন, নির্জন রাস্তায় সচল সিসিটিভি স্থাপন, পূর্ববর্তী সকল ধর্ষণ মামলার রায় ৬ মাসের মাঝে সম্পন্ন করা, দলীয় মদদে কোনো ধর্ষণকে বা কোনো অপরাধকে আশ্রয় দেওয়া হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা।
[৬] দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা করে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় আবারো একই স্থানে আন্দোলন করবার ঘোষণা দিয়ে কর্মসূচি শেষ করে শিক্ষার্থীরা। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ