সিরাজুল ইসলাম: [২] প্রতিবেশী আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধের দশম দিন মঙ্গলবার তারা নিহত হন। এ নিয়ে দেশটির ২৯১ সেনা নিহত হলো বলে জানিয়েছে ইয়েরাভান। কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে বাকু।
[৩] রাশিয়ার এসভিআর ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস প্রধান সের্গেই নারিশকিন বলেছেন, এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের ভাড়াটে যোদ্ধা ও জঙ্গিদের আকৃষ্ট করছে। কয়েক হাজার জঙ্গি নতুন কারাবাখ যুদ্ধে অর্থ উপার্জনের আশা করছে। দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চল থেকে জঙ্গিরা রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পৌঁছাতে পারবে।
[৪] এর আগে আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠ মিত্র তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু শান্তি প্রতিষ্ঠায় রাশিয়াকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সংঘর্ষ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপে উত্তেজনাবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
[৫] নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অভ্যন্তরে অবস্থিত। এটি তাদের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। আর্মেনিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করছে জাতিগত আর্মেনিয়রা। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়।
[৬] সংঘর্ষ তীব্র হলে আঞ্চলিক শক্তিগুলোও এতে জড়িয়ে পড়তে পারে। কারণ আর্মেনিয়া সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর সামরিক জোটের সদস্য। এই জোটের নেতৃত্বে রয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইরান। আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া ইরানের প্রতিবেশী। একই সঙ্গে দেশ দুইটি আবার তুরস্কের প্রতিবেশী। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সিসেফ তাইয়্যেব এরদোগান আজারবাইজানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। সূত্র: রয়টার্স, এএফপি