হাবিবুর রহমান: [২] নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজলার ঐতিহ্যবাহী পূর্বধলা সরকারি কলেজের সাবেক ৩ সহকারী অধ্যাপক অবসর গ্রহণের দীর্ঘ ৪বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কলেজ অংশের বেতন-ভাতার সমুদয় টাকা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
[৩] খোঁজ নিয়ে জানাযায়, কলেজ কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারণে অদ্যবধি ওই তিন শিক্ষকের প্রাপ্য বকেয়া পরিশোধ করছেন না।
[৪] কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক সামছু উদ্দিন আহমদ বলেন, ২০১৬ সালে তিনি অবসর গ্রহণের পর সরকারি অংশের টাকা যথাযথভাবে পেলেও বকেয়া রয়ে যায় কলেজ অংশের ১৪ মাসের টাকা। অবসর গ্রহণের দুই বছর পর কলেজ থেকে তাকে ৫মাসের টাকা দিলেও বকেয়া রয়ে যায় ৯মাসের টাকা।
[৫] তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বার্ধক্য জনিত কারণে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে কর্মক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছি। জানি না মৃত্যুর আগে বকেয়া টাকা পাব কিনা ?
[৬] রাস্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের আরেক সাবেক সহকারী অধ্যাপক মাহফিজ উদ্দিন বলেন, তিনিও ২০১৬ সালে অবসর গ্রহণ করলে তারও রয়ে যায় ২৬ মাসের বকেয়া। অনেক আবেদন নিবেদনের পর সম্প্রতি তাকে দেওয়া হয় ৫মাসের টাকা। তিনিও আক্ষেপ করে বলেন, জানি না বাকি টাকা কবে পাব।
[৭] অবসরে যাওয়া কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আরেক সাবেক সহকারী অধ্যাপক মীর মতিউর রহমান বলেন, তিনিও একই সময়ে অবসর গ্রহণ করলে তারও রয়ে যায় কলেজ অংশের ১৪ মাসের টাকা। সম্প্রতি তাকেও দেয়া হয় ৫ মাসের টাকা। কলেজ কর্তৃপক্ষ দ্রুত বকেয়া টাকা পরিশোধ করলে কর্তৃপক্ষের কাছে তারা কৃতজ্ঞ থাকবেন।
[৮] কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মো. আনোয়ারুল হক রতন বলেন, আগের অধ্যক্ষ মো. শহিদ উল্লাহ খান থাকা অবস্থায় ওই তিন শিক্ষক অবসরে গেলেও তখন তিনি তাদের বকেয়া দেননি। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর এক জনের ৫ মাসের বকেয়া দিয়েছি। সম্প্রতি দু’জনকে ৫ মাসের করে বকেয়া দেয়া হয়েছে। অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে তাদের বকেয়া পরিশোধ করা হবে।
[৯] এ ব্যাপারে কলেজের সিগনেটর ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উম্মে কুলসুম বলেন, এতো টাকা একেবারে দেওয়াটা আসলেই টাপ ব্যাপার। এটা পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। এত বছর যেটা দেওয়া হয়নি এখন যেহেতু শুরু হয়েছে সেটাকে আমরা বরঞ্চ সাধুবাদ জানাই। দেয়া হয়েছে যেহেতু তা চলমান থাকবে। সম্পানা: হ্যাপি