শিরোনাম
◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়? ◈ ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ইরানের এক দশকের ‘ছায়া যুদ্ধ’: যেভাবে চলছে যুক্তরাজ্যের ভেতরে গোপন তৎপরতা ◈ চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত, আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ◈ এবার অঝোরে কাঁদলেন মিসাইল ম্যান কিম জং উন (ভিডিও) ◈ জুলাই নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট: পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অবরোধ-বিক্ষোভ ◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ০৬ অক্টোবর, ২০২০, ০৮:৫৫ সকাল
আপডেট : ০৬ অক্টোবর, ২০২০, ০৮:৫৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাহবুবুর রহমান: নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ রোধে বিচার পদ্ধতির পরিবর্তন ও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ বন্ধ করা জরুরি

মাহবুবুর রহমান: ধর্ষক দুর্বৃত্তরা বাংলার শিশু কিৎবা নারীকে ধর্ষণ করে এবং নারীর বিবস্ত্র ভিডিও চিত্র ধারণ করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক মিডিয়ায় প্রকাশ করার ঘটনা কিভাবে এবং কেন ঘটছে?

সিলেটে ধর্ষণের ঘটনার পরপরই নোয়াখালীর নারীর বিবস্ত্র ও নির্যাতনের ভাইরাল ভিডিও দেখে মনে প্রশ্ন জাগলো যা ১৯৭১ সালে নারকীয় দানবের ও হার মানায়।

এই রকম ভাইরাল ভিডিও দেখার জন্যই কি ৩০লক্ষ শহীদের রক্তে রন্জিত বাংলদেশ,নাকি এটা একটি বিচ্ছন্ন ঘটনা?

মায়ের ভাষা বাংলার দাবীতে যে যুবকেরাও বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে,পাকিস্তানীদের অত্যাচারে বিরুদ্ধে রুখেঁ দাঁডিয়ে,১৯৬২ সালের শিক্ষা অন্দোলনে থেকে বাংলার রক্তিম সূর্য অর্জন পর্ষন্ত বাংলার যুব সমাজ বিন্দুমাত্র মাথা নতো করেনি, যে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে , বীরের জাত,কিন্ত সেই যুব সমাজের আজ এতো অধ:পতন কেন?নাকি ধর্ষণ একটি মানস্তাত্ত্বিক বিষয়,তবে সেটা যখন একটি গ্রুপ মিলে পরিকল্পনা মাফিক সংগঠিত তখন বিষয়টি ক্ষমতার সংগে ধর্ষকের সংযোগের কারণে নারীরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে নাকি ধর্ষণ যৌনসুখের উদ্দেশ্য নয় বরং অপরপক্ষকে দমিয়ে রাখতে ক্ষমতার প্রদর্শন হতে পারে।

অন্যদিকে ধর্ষকরা জানে বর্তমান পরিচালিত আইন অকার্যকর ফৌজদারি বিচার ব্যবস্হার কারণে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা কোন ব্যপার না।এই কারণে আমাদের দেশে ৯৭ ভাগ ধর্ষণের মামলার আসামী খালাস পেয়ে যায় অর্থাৎ ধর্ষণের শতকরা মাত্র তিন ভাগ মামলার অপরাধীরা শাস্তি পায়।যেগুলি নিয়ে মানুষ কথা বলে অথবা দেশ ডিজিটাল হওয়ার কারণে সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেইগুলির কিছুটা বিচার হয়।

আমরা যদি একটু পিছনে ফিরে দেখি :
২০১৬ সালের কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে তনু ধর্ষণ ও হত্যার কথা সবার জানা কিন্তু আজ পর্ষন্ত এর তদন্ত শেষ হয় নাই,বিচারের রায় তো অনেক দুরের কথা।

২০১৭ সালের বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার বিচার বা রায় এখনও হয়নি।

২০১৭ সালে টাংগাইলের বাসে রুপা ধর্ষণ মামলার রায় নিন্ম আদালতে হলেও উচ্চ আদালতে এখনও আটকে আছে ।

তাই ধর্ষণ ও নারী নির্ষাতনের ক্ষেত্রে অকার্যকর ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে এবং দীর্ঘসূত্রতা, বিচারহীনতার সাংস্কৃতি, আইনের প্রয়োগ, প্রশাসনের উদাসিনতার ও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ , রাজনৈতিক নেতাদের অদৃশ্য ছায়া,সমাজিক অবক্ষয় রোধ এবং নৈতিক ও মানসিকতার উন্নায়ন ও মামলার জটলা বন্ধ করতে পারলে আবশ্যই যুব সমাজের যুবকরা এই দেশের কাজ করবে।

পরিচিতি: মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়