শরীফ শাওন: [৩] গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান হারুনর রশিদ বলেন, বিশ্বের ভ্যাকসিন উৎদানকারী প্রতিষ্ঠানের দাবি, তাদের ভ্যাকসিন -৬০ থেকে -৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করতে হয়। অর্থাৎ ভ্যাকসিনটি পরিবহন ও জনগণের দ্বারগোড়ায় পৌছাতে পরিবহন খরচ ও কঠোর টেকনোলজির প্রয়োজন। যেখানে বাংলাদেশের ভ্যাকসিন -২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সংরক্ষণ সম্ভব।
[৪] তিনি বলেন, , BANGLADESH, BANGOBONDHU I BAN (প্রতিরোধ) এই তিনটি কারণে বাংলাদেশের ভ্যাকসিনের নামকরণ BANCOVID করা হয়। বঙ্গবন্ধু আমাদের বাংলাদেশ দিয়েছে, তাকে উপহার দিতেই এই প্রয়াস।
[৫] সংগঠনের সিইও ড. কাকন নাগ বলেন, আমরা প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যে ডাটা পেয়েছি তা আলোচনায় থাকা ভ্যাকসিনগুলোর সমতূল্য। প্রাণিদেহে ভ্যাকসিন প্রয়োগে আমরা মর্ডানার ডাটার চেয়ে ভালো ফলাফল লক্ষ্য করেছি। খরগোশের উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। কোষে পরিবর্তন ও রক্ত জমাট হয়নি, রক্তের রিপোর্টও স্বাভাবিক পরিলক্ষিত হয়।
[৬] তিনি বলেন, ভাইরাসটির জন্য দায়ি, সার্স কোভ-২, যা প্রাণিদেহে প্রবেশ করে কোষগুলোকে ধ্বংশ করে। মার্চ মাসে সারা বিশ্ব থেকে এর ১৭টি সিকুয়েন্স পেয়েছি। সকলেই এসকল সিকুয়েন্স নিয়ে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে। তবে পরবর্তীতে সিকুয়েন্সটির ডি৬১৪জি মিউটেশন লক্ষ্য করা যায়। সেখানে স্পাইক প্রোটিনের পরিবর্তনের পর সেপ্টেম্বরে ৫০৮৬ টি স্যাম্পল নিজে কাজ করি। এখানে শতভাগ ডি৬১৪জি মিউটেশন পাওয়া যায়। বিশ্বে আমরাই প্রথম যারা, এই মিউটেশন ভাইরাস নিরীক্ষা করে ভ্যাকসিন তৈরি করেছি।
আপনার মতামত লিখুন :