শিরোনাম
◈ এমপিদের পেনশন, গাড়ি কেনা নিয়ে ক্ষেপল এশিয়ার আরেক দেশের জেন-জি ◈ আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির ◈ ১৬ দিনে এলো ২০৪১০ কোটি টাকার প্রবাসী আয় ◈ কিছু মহল এখনো নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে: প্রধান উপদেষ্টা ◈ নির্বাচন পিআর এর মাধ্যমে হবে না, সেটা তো হবে সংবিধান সংশোধনের পরে: নজরুল ইসলাম  খান  ◈ এদেশের প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় অধিকারের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল : বিবৃতিতে তারেক রহমান ◈ ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা  ◈ নোয়াখালীতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, চালক নিহত ও আহত ১২ ◈ আনুপাতিক ভোটপদ্ধতি ‘ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করবে’: রিজভী ◈ বাংলাদেশ আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবে না

প্রকাশিত : ০৫ অক্টোবর, ২০২০, ০৯:৫৮ সকাল
আপডেট : ০৫ অক্টোবর, ২০২০, ০৯:৫৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ

রহিদুল খান : [২] ‘সুবিধাবঞ্চিত’ হয়ে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতীয় ফল আমদানি বন্ধ রেখেছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।

[৩] রোববার (৪ অষ্টোবর) সকাল থেকে ফল জাতীয় কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি।  সোমবার (৫ অষ্টোবর) আসেনি কোনো ফলের ট্রাক।

[৪] ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নতুন নিয়ম জারি এবং বিদ্যমান বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ভারত থেকে আপেল, কমলা, বেদানাসহ বিভিন্ন কাঁচা ফল আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। ফলে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে আটকে রয়েছে ফল বোঝাই শতাধিক ট্রাক। কোনো কোনো রফতানিকারক ফলভর্তি ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরে নিয়ে গেছেন বলে ফল ব্যবসায়ীরা জানান।

[৫] বেনাপোল বন্দর দিয়ে যে সব পণ্য আমদানি হয়, তার বড় একটি অংশ রয়েছে ফল জাতীয় পচনশীল কাঁচামাল। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে পৌঁছাতো কিছু মাল পচে নষ্ট হয়। এক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রতি কার্টনে শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে এক কেজি ছাড় দিয়ে আসছিল। হঠাৎ এ ছাড় বন্ধ করে দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা এপথে আমদানি বন্ধ করে দেন।

[৬] ফল আমদানিকারক বেনাপোলের রয়েল এন্টারপ্রাইজের মালিক রফিকুল ইসলাম রয়েল জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে ব্যবসায়ীরা বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে থাকেন। খাদ্যদ্রব্য জাতীয় কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে বেনাপোল কাস্টমসের কড়াকড়ির কারণে দীর্ঘ ১৫ বছর এই পথ দিয়ে সেগুলো আমদানি বন্ধ ছিল। পরে পচনশীল পণ্যে কাস্টমস মানবিক কারণে কিছু সুবিধা দেওয়ায় চলতি বছরের প্রথম থেকে আবার বেনাপোল বন্দর দিয়ে কাঁচামাল আমদানি শুরু হয়।

[৭] কিন্তু সম্প্রতি ভারত থেকে আমদানি করা ফলের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ফলের সঙ্গে আসা কার্টনেরও শুল্ক দিতে বলছে তারা। ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, এ নিয়মে কাঁচা ফল আমদানিতে লোকসান হবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে তারা। এজন্য বেনাপোল দিয়ে ফল আমদানিতে অনীহা প্রকাশ করছেন তারা। ভোমরা বন্দরে ফল ও কার্টনের ওজন সুবিধা পাওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী পেট্রাপোল বন্দরে আসা ফলের ট্রাক ফিরিয়ে নিয়ে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি শুরু করছেন বলে জানান তিনি।

[৮] আমদানি পণ্যের রাজস্ব গ্রহনকারী সোনালী ব্যাংক বেনাপোল শাখার ম্যানেজার আকতার ফারুক জানান, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে খাদ্যদ্রব জাতীয় কাঁচামাল থেকে বড় একটা রাজস্ব আসতো। বর্তমানে ফল আমদানি বন্ধ থাকায় রাজস্ব আয় ঘাটতি হচ্ছে।

[৯] বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল বলেন, প্রতিদিন ভারত থেকে ২০ থেকে ২৫ ট্রাক আপেল, আঙুর, বেদানা, কমলা, টমেটোসহ বিভিন্ন ফল আমদানি হয়ে থাকে। তবে ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীন ঝামেলায় দিনভর কোন ফলের ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি। ব্যবসায়ীরা যদি পণ্য আমদানি করেন তবে দ্রুত খালাসের সব ব্যবস্থা বন্দরে আছে।

[১০] এ বিষয়ে বেনাপোল কাষ্টম হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার সৈয়দ নেয়ামুল হক জানান, কাষ্টমস কোন নতুন নির্দেশনা জারি করেনি। কিছু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত সুবিধা না পেয়ে এপথে আমদানি করছেন না। নিয়ম মেনে আমদানি করলে পণ্য খালাসে কোন বাধা নেই বলে জানান তিনি। সম্পাদনা: সাদেক আলী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়