লিহান লিমা: [২] চ্যারিটি সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যশনালের জরিপে দেখা গিয়েছে, অনলাইনে নারী ও কিশোরীদের প্রতি আপত্তিকর বার্তা, পর্নো ছবি, সাইবার হুমকি ও অন্যান্য ধরণের ইন্টারনেট ভিত্তিক হয়রানি বেড়েছে। দ্য গার্ডিয়ান
[৩]গত ১ এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ২২টি দেশের ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী ১৪ হাজার ৭১ জন নারী ও কিশোরীদের মতামত গ্রহণ করে। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ব্রাজিল, বেনিন, জাপান, জাম্বিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
[৪]৫৯ শতাংশ নারী বলেছেন তারা অনলাইনে আপত্তিকর বার্তা ও অপমানজনক মন্তব্যের শিকার হন, ৪১ শতাংশ বলেছেন তাদের ক্রমাগত হয়রানি করা হয় এবং ৩৯ শতাংশ বলেছেন তারা বডি শেমিং ও যৌন নির্যাতনের হুমকির শিকার হন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৬০ শতাংশ নারী ও কিশোরী বলেছেন তারা শুধুমাত্র সম্প্রদায়গত কারণে হয়রানির শিকার হয়েছেন।
[৫]সবচেয়ে বেশি হয়রানির ঘটনা ঘটেছে ফেসবুকে (৩৯ শতাংশ)। এরপরই রয়েছে ইনস্টাগ্রাম (২৩ শতাংশ), হোয়াটস অ্যাপ (১৪ শতাংশ), স্ল্যাপচ্যাট (১০ শতাংশ) , টুইটার (৯ শতাংশ) ও টিকটক (৬ শতাংশ)।
[৬]৫ জনের মধ্যে একজন (২২ শতাংশ) বলেছেন তারা অথবা তাদের কোনো বন্ধু ক্ষতির আশঙ্কায় অনলাইন ছেড়েছেন, ৩৯ শতাংশ বলেছেন তারা আত্ম-মর্যাদাবোধ সংকটে ভুগছেন, ৩৮ শতাংশ বলেছেন হয়রানির কারণে তারা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
[৭]অনলাইনে সহিংসতার সঙ্গে কারা জড়িত এই প্রশ্নে ৪০ শতাংশ বলেছেন তারা স্কুল বা কর্মক্ষেত্রের কারো দ্বারা হয়রানির শিকার হয়েছেন। ২৯ শতাংশ বন্ধুর দ্বারা ও ১৬ শতাংশ সাবেক সঙ্গীর দ্বারা হয়রানির শিকার হয়েছেন। ৩৮ শতাংশ বলেছেন তারা অজ্ঞাত ব্যবহারকারী কর্তৃক হয়রানির শিকার হয়েছেন।
[৮]প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী সুশানি লেগানানা বলেন,‘ভার্চুয়ালি বা বাস্তবে কোথাও মেয়েরা সহিংসতা থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। সরকার ও টেক কোম্পানিগুলোকে নারী ও কিশোরীদের সুরক্ষায় অনলাইনে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। এটি মানবাধিকার ইস্যু।’
[৯]জেন্ডার ইকুয়ালিটি ভিক্টোরিয়ার নেতা কেইতলিন ম্যাকগ্রেন বলেন, সামাজিক মাধ্যমগুলোকে নারীর জন্য উপযুক্ত করে ডিজাইন করা হয় নি। এখানে রিসার্চের অনেক বিষয় রয়েছে। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ‘ফেসম্যাস’ নামের একটি অ্যাপ বানিয়েছেন, যেখানে কি না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের মেয়েদের ছবি আপলোড করে তাদের সৌন্দর্যের র্যাংক দেখে। অনলাইন প্লাটফর্মগুলোকেই হয়রানিমূলক পোস্ট, কমেন্ট ও মেসেজ মুছে ফেলতে পদক্ষেপ নিতে হবে।’