সিরাজুল ইসলাম: [২] ১ হাজার ৬১টি ক্যাডার পদ এবং ১১ হাজার ৫৪৬টি নন-ক্যাডার পদ সৃষ্টি করতে সরকারি আদেশ জারির জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি এই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন। ইউএনবি
[৩] জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৩ হাজার ৭২টি পদ তৈরির প্রস্তাব অনুমোদন করে। পরে, অর্থ বিভাগ রাজস্ব খাতে ১২ হাজার ৬০৭টি পদ সৃষ্টিতে সম্মত হয়। অর্থ বিভাগ পদগুলোর বেতন স্কেল নির্ধারণ করেছে। কর্মকর্তারা জানান, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে ১১৩টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে (৪৯টি পলিটেকনিক এবং ৬৪টি টেকনিক্যাল কলেজ) জনবলের ঘাটতি সমাধান করা। তিন বছরে পদগুলোতে নিয়োগ দেয়া হবে।
[৪] ১ হাজার ৬১টি স্থায়ী ক্যাডার পদের মধ্যে ২০ জন উপাধ্যক্ষ (জাতীয় বেতন-স্কেল, ২০১৫-এ গ্রেড-৫), ১৬৯ জন চিফ ইনস্ট্রাক্টর (টেকনিক্যাল, গ্রেড-৬), ৫৭ জন চিফ ইনস্ট্রাক্টর (নন-টেকনিক্যাল, গ্রেড-৬), ৫১০ জন ইনস্ট্রাক্টর (টেকনিক্যাল, গ্রেড-৯) এবং ৩০৫ ইনস্ট্রাক্টর (নন-টেকনিক্যাল, গ্রেড-৯)।
[৫] কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. ওমর ফারুক বলেন, চলতি অর্থবছর থেকে তিন অর্থবছরে ১২ হাজারেরও বেশি পদে নিয়োগ দেয়া হবে। টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজগুলোতে বর্তমানে এক তৃতীয়াংশ কর্মচারী দ্বারা পরিচালিত তীব্র জনবল সঙ্কটের সমাধানের জন্য সরকার এই পদ সৃষ্টি করছে। নিয়োগের পরে শিক্ষার মান ও তালিকাভুক্তির হার বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
[৬] ড. ওমর ফারুক বলেন, এই পদক্ষেপটি দেশে ও বিদেশে বর্তমান চাকরির বাজারের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষার উন্নয়নের জন্য সরকারের অগ্রাধিকারের অংশ হিসেবে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, বিদেশে দক্ষ শ্রমিকদের উচ্চ চাহিদা থাকায় চাকরিমুখী শিক্ষার উদ্যোগটি বাংলাদেশি কর্মীদের বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।