শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০২ অক্টোবর, ২০২০, ১১:০৮ দুপুর
আপডেট : ০২ অক্টোবর, ২০২০, ১১:০৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাইবান্ধায় বন্যার পানি বিপদসীমার ওপরে, প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা

আনোয়ার হোসেন: [২] পঞ্চম দফা বন্যায় গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা আগের সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুমের তথ্য মতে, ১৯৯৯ সালে করতোয়ার পানির বিপৎসীমা ১০৪ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়ে ছিলো।

[৩] গোবিন্দগঞ্জ-ঘোড়াঘাট-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক তলিয়ে গিয়ে পৌর শহরের পানি হু হু করে ঢুকছে। ইতিমধ্যে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার স্বাহ্য কমপ্লেক্সে কোমর পানি। এতে করে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ও ডাক্তারদের চরম দূভোর্গ পোহাতে হচ্ছে। অনেক উচু  বাসা বাড়িতে বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

[৪] বন্যার কারণে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে ঘোড়াঘাট উপজেলা হয়ে দিনাজপুর জেলায় যোগাযোগের আঞ্চলিক মহাসড়কটি বন্যার পানির নিচে ডুবে গেছে।এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।

[৫] বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে  গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বগুলাগাড়ীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে প্রায় নতুন করে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।  পানিতে তলিয়ে গেছে আমন ধান,  পুকুর ,শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল।

এদিকে গাইবান্ধা শহর পয়েন্টে ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

[৬] তবে তিস্তা, যমুনাসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, গাইবান্ধা সদর ও সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে শত শত বিঘা জমির আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

[৭] গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানান, করতোয়া নদীর পানি কাটাখালী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার ওপর, ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহর পয়েন্টে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা, যমুনাসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। যে কোনো সময় বিপদৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

[৮] গাইবান্ধার জেলা প্রশাসন মো. আব্দুল মতিন বলেন, বন্যা নিয়ে হতাশার কিছু নেই। সরকার বন্যা কবলিতদের পাশে আছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

[৯] গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দেয়া তথ্য অনুয়ায়ী, টানা বৃষ্টি আর নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার সাত উপজেলার এক হাজার ৭৫০ হেক্টর জমির আমন ধান পানিতে ডুবে গেছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ২৫ হেক্টর জমির শাক-সবজি পচে গেছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়