আনিস তপন ও তাপসী রাবেয়া: [২] ৪ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন। ছয় মাসের বেশি ও পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
[৩] বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে জাহিদ মালেক বলেন, জাতীয় ক্যাম্পেইন চলাকালে কোনও কুচক্রীমহল যাতে নেতিবাচক প্রচার কার্যক্রম চালাতে না পারে, সে জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
[৪] গতবছর হাইকোর্টের নির্দেশে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো বন্ধ ছিল। এবিষয়ে মন্ত্রী বলেন, গত বছরের ক্যাপসুলেও কোনো সমস্যা ছিল না। এবছরও যথাযথভাবেই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এবছর আরও সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
[৫] স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এবছর ১লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ খাওয়ানো হবে। ক্যাপসুল খাওয়ানোর সময় শিশুদের ভরা পেটে আনতে হবে। ভিটামিন এ ক্যাপসুল কেটে তা চিপে শিশুদের খাওয়ানো হবে। জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ছয় মাসের কম বয়সী ও পাঁচ বছরের বেশি বয়সী এবং অসুস্থ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
[৬] ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর সময় অভিভাবকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসার সময় অভিভাবকেরা মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করবেন।
[৭] এসময় কোভিড ভ্যাকসিনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সঠিক সময়ে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন পেতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যাতে সময়মতো ভ্যাকসিন পাই সেই কার্যক্রম আমরা নিয়েছি।
[৯] তিনি বলেন, করোনায় আমরা অন্যান্য কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছি। স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সকল কার্যক্রম সঠিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছি। গত সাত মাস আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দিনরাত কাজ করেছে।
[১০] জাহিদ মালেক বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ে একেবারে মাঠ পর্যায় পর্যন্ত সকল ব্যক্তি কাজ করে গেছেন। ফলে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আমাদের দেশে মৃত্যুর হার অন্য দেশের তুলনায় কম। সংক্রমণের হারও ১০/১১-তে নেমে এসেছে। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব